Description
চন্দন গুড়ার উপকারিতা (ত্বকের যত্নে)
১.ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে:
চন্দন গুড়া পরিপূর্ণ রয়েছে আলফা স্যানটানোল নামক উপাদান দিয়ে যা টাইরোসিনেজ এর মাত্রা কমিয়ে মেলানিন উৎপাদন আশানূরুপভাবে কমিয়ে আনে।কারণ অতিরিক্ত মেলানিন আমাদের ত্বক অনুজ্জল করে,কালচে দাগ ফেলে।চন্দন মুখে দিলে কি হয় তা যদি এক কথায় কেউ জানতে চায় তবে বলতে হবে যে এটি খুব দূর্দান্তভাবে ত্বক উজ্জল করে তোলে।
২.ব্রণ এবং ব্ল্যাকহেডস জাতীয় সমস্যায় সুপার্ব কার্যকরী:
ব্রণের সমস্যায় যখন আপনি নাকাল এবং আপনি অনেক কিছু ইউজ করেও ভালো সমাধান পাচ্ছেন না সেক্ষেত্রে চন্দন গুড়া হতে পারে যাদূকরী একটি স্টেপ।প্রপাইনোব্যকটেরিয়ামের সংক্রমণ কমিয়ে আনে চন্দন পাউডার।এন্টিব্যকটেরিয়াল, এন্টিসেপটিক,এন্টিইনফ্ল্যামেটরী
গুণাবলি থাকার কারনে এটা ব্রণের সমস্যায় ভালো ফলাফল দেয়।আর নিয়মিত ব্যবহারে ব্ল্যাকহেডসও দূর করে।
৩.ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে:
যেহেতু চন্দন গুড়াতে(Sandalwood powder) এসট্রিনজেন্ট প্রপার্টি থাকে তাই এটি ত্বকের সেবাম প্রডাকশন কমিয়ে নিয়ে আসে এবং ত্বকের তৈলাক্ততাও দূর করে।
৪.ত্বকের জ্বালাপোড়া,অস্বস্তিকর অনুভুতি ও লালচে ভাব কমায়:
আমাদের অনেকেরই ত্বক অতিমাত্রায় সেন্সিটিভ হয় এবং মাঝেমধ্যেই ত্বক জ্বালাপোড়া করে।চন্দন গুড়াতে রয়েছে স্যান্টানলস,ফ্ল্যাভোনয়েডস,ট্যান্নিস নামক উপাদান যা ত্বকের জ্বালাপোড়া ও অস্বস্তিকর অনূভুতি কমিয়ে আনে।
৫. ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতা দূর করে:
যাদের ত্বক বেশিমাত্রায় শুষ্ক তাদের জন্য চন্দন গুড়া হলো একটি পারফেক্ট সলিউশন।এটাতে রয়েছে আলফা স্যানটানল ও বিটা স্যানটানল নামক ন্যাচারাল অয়েল যে কারণে চন্দন গুড়া ত্বকে দেয় একটি নরম,কোমল,মসৃণ অনুভূতি আর ত্বক করে তোলে ময়েশ্চারাইজড।
৬.ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে:
চন্দন গুড়াতে (Sandalwood powder) রয়েছে নানাবিধ এন্টিঅক্সিডেন্টাল,এন্টিইনফ্ল্যমেটরী উপাদান।তাছাড়া এটি ত্বক হাইড্রেট করে,ডীপলি ক্লিন করে,কোলাজেন সিন্থেসিস বাড়ায়,ত্বককে দৃঢ় করে,ত্বকে প্রটিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে।এভাবে করে শ্বেত চন্দন বা সাদা চন্দন ত্বককে দীর্ঘদিন তারুণ্যময় রাখে এবং বয়সের ছাপ পড়তে দেয়না।
৭.রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বকের কালচে দাগ দূর করে:
সূর্যের আলোতে বেশি সময় থাকা বা বিভিন্ন কারণেই ত্বকে যে কালচে ছোপ ছোপ দাগ পড়ে এবং সানবার্ণ হয় সেজন্য চন্দন গুড়া অত্যন্ত কার্যকরী।সানড্যামেজের কারণে হওয়া ক্ষয়ক্ষতিও সারিয়ে তোলে এটি।
৮.ত্বকের চামড়া ওঠার সমস্যা(এক্সফোলিয়েশন) সমাধান করে:
অনেকেরই স্কিন অতিরিক্ত পরিমানে পাতলা এবং সেন্সিটিভ হয়।শীতকালে তো চামড়া ওঠেই এমনকি সারা বছরও চামড়া ওঠে।সেক্ষেত্রে চন্দন গুড়া হলো অত্যন্ত ইফেক্টিভ একটি প্রাকৃতিক সলিউশন।
এবার আমরা জানবো চন্দন গুড়ার ব্যবহার
১.ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধির জন্য চন্দন গুড়ার(Sandalwood powder) ব্যবহার:
• ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধির জন্য চন্দন গুড়ো কয়েকটি ভাবে ইউজ করা যায়। একটা হলো চন্দন গুড়া আর হলুদ গুড়ো মিশিয়ে গোলাপ জলের মাধ্যমে পেস্ট করে নিন। ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।নিয়মিত ইউজ করুন।চাইলে এটার সাথে দুধ বা দই মিশাতে পারলে আরো ভালো।যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা দুধ স্কিপ করবেন।
•আরেকটা উপায় হলো চন্দন গুড়ার সাথে কমলার খোসার গুড়ো মিশিয়ে বা ছাল বেটে নিয়ে তার সাথে পরিমানমতো গোলাপ জল নিয়ে পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে ২০-২৫ মিনিট।এরপর ধুয়ে ফেলতে হবে।গোলাপ জল না থাকলে পানি এবং কয়েক ফোটা লেবুর রস মেশানো যায়।
•আরো একটি উপায় হলো একটা বাটিতে সামান্য দুধ নিয়ে তাতে চন্দন গুড়া মিশিয়ে মিশ্রণটি ত্বকে আলতোভাবে লাগান।এটা শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।এরপর কটন বলে সামান্য গোলাপ জল মিশিয়ে সেটার মাধ্যমে ত্বক মুছে ফেলুন।এটি খুব অল্প দিনের মধ্যেই ত্বক উজ্জল করে তুলবে।
•খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জল ত্বক পেতে চন্দন গুড়ার দূর্দান্ত কার্যকর একটি প্যাক রয়েছে।সেজন্য এক চামচ পাকা পেঁপের ক্বাথ,এক চামচ চন্দন গুড়ো,দই বা দুধ(যে ত্বকে যেটা স্যুট হয়),মধু আর সামান্য হলুদ গুড়ো মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ত্বকে ইউজ করুন।স্বল্প সময়ে ত্বক আশানুরূপ উজ্জল করে তুলতে এটি একটা পাওয়ার প্যাক।
•তাছাড়া উজ্জল ত্বক পাওয়ার জন্য একেবারেই সিম্পল কিন্তু সুপার একটা ওয়ে হলো চন্দন গুড়ার সাথে দুধ মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করা।কিন্তু তৈলাক্ত ত্বক হলে শুধু পানি মিশিয়ে ইউজ করলেও ফলাফল ভালো পাওয়া যায়।অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকের অধিকারীরাই কেবল দুধ সরাসরি এভাবে ইউজ করবেন।
•তাছারা চন্দন গুড়ো,মুলতানি মাটি,টমেটো ক্বাথ বা রস মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিয়মিত ইউজ করলেও ত্বকের উজ্জলতা হবে দেখার মত।
২.ব্রণের সমস্যা সমাধানে এবং ব্ল্যাকহেডস দূর করতে চন্দন গুড়ার ব্যবহার:
•নিম গুড়া+চন্দন গুড়া+কাচা হলুদ বেটে নিয়ে ব্রণের ওপর লাগিয়ে রেখে ২০-২৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত করলে ব্রণ আস্তে আস্তে দূর হবে।চাইলে এটার সাথে শঙ্খ গুড়া মিশাতে পারেন এক চিমটি।
অর্গানিকাওনের Acne Removing ক্রিম পেতে ক্লিক করুন
•এই একই প্রবলেম দূর করতে আরেকটি প্যাক রয়েছে যেটাতে এক চা চামচ চন্দন গুড়োর সাথে অল্প হলুদ গুড়ো ও কর্পূর মিশিয়ে সেটা ত্বকে এপ্লাই করতে হয়।সারারাত রেখে পরদিন সকালে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।এই প্যাকটি ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডস কমিয়ে আনে চমৎকারভাবে।
৩.ত্বকের তৈলাক্ততার সমস্যা সমাধানে চন্দন গুড়ার ব্যবহার:
এক চা চামচ চন্দন গুড়ার সাথে হাফ চা চামচ চালের গুড়ো ও সামান্য লেবুর রস নিন।পানি মিশিয়ে পেস্ট বানান।এটা ত্বকে মেখে ১০-১৫ মিনিট রাখুন।ধুয়ে ফেলার পরে কারো কারো ক্ষেত্রে মুখে হালকা জ্বালাপোড়া হলেও হতে পারে।সেরকম হলে বরফ মেশানো ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন বা বরফ ঘষুন।এই মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখেও পরপর এক দুদিন ইউজ করা যায়।
৪.জ্বালাপোড়া, অস্বস্তিকর অনুভুতি ও লালচে ভাব কমাতে চন্দন গুড়ার ব্যবহার:
চন্দন পাউডারের সাথে শশা বা এলোভেরার রস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ত্বকে এপ্লাই করুন।এলোভেরায় এলার্জি ফিল হলে সেটা স্কিপ করে সামান্য মধু মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ইউজ করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৫.ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে চন্দনের ব্যবহার:
গোলাপ জলের সাথে এক চা চামচ পরিমান চন্দন গুড়া, চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ নারিকেল তেল ও সেইম পরিমান বাদাম তেল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ত্বকে এপ্লাই করুন।২৫-৩০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানিতে পাতলা কাপড় ভিজিয়ে সামান্য ডলে ডলে তুলে ফেলুন।চাইলে এটি গলায়ও ইউজ করা যাবে।মিশ্রণটি ফ্রিজে সংরক্ষণ করেও আপনি পরাপর ইউজ করতে পারেন।শুধু গোলাপ জলের সাথে চন্দন মিশিয়েও এই পারপাসে চন্দন ইউজ করা যায়।
৬.ত্বকের এক্সফোলিয়েশন বা মৃত চামড়া পরিস্কার করে তুলতে চন্দনের ব্যবহার:
চন্দন গুড়ার সাথে বেসন আর সামান্য অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ত্বকে আলতোভাবে লেয়ারিং করে লাগান।সম্পূর্ণ শুকিয়ে টান টান হয়ে যাওয়ার আগেই ফ্রিজের ঠান্ডা পানি বা এক টুকরো বরফ কাপড়ে পেচিয়ে নরমভাবে চেপে চেপে তুলে ফেলতে হবে।
৭.রোদে পোড়া ভাব,কালচে দাগ ছোপ দূর করতে চন্দন পাউডারের ব্যবহার:
সামান্য পরিমান এলোভেরা জেল নিয়ে এর সাথে হাফ চা চামচ চন্দন গুড়া নিন।মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করে এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এরপর রেগুলার ময়েশ্চারাইজড ক্রীম লাগিয়ে নিন।
তবে হ্যা,জাস্ট অল্প কয়েকদিন ইউজ করেই ফলাফল আশা করলে সেক্ষেত্রে নিছক কল্পনাতেই আসলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যাবে।প্রাকৃতিক উপাদানগুলো কাজ করে কিছুটা ধীরে তা তো আসলে আমর সকলেই জানি। তাই এটা নিয়মিতভাবে ধৈর্য্য ধরে ইউজ করতে হবে এবংএকটা সারটেইন টাইম পর আপনি অবশ্যই চমৎকার সব পরিবর্তন দেখতে পারবেন আশা করছি।একান্তই যদি আপনি পর্যাপ্ত সময় না পান সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র চন্দন গুড়া সামান্য পরিমানে নিয়ে পানিতে মিশিয়েও ত্বকে মেখে নিতে পারেন।আমার পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স থেকে বলতে পারি যে এটাও আপনার ত্বককে দারুন এনচ্যান্টিং করে তুলবে।আর হ্যা,আরেকটি কথা। যখন এটা দিয়ে রূপচর্চা করবেন,তখন আপনি চাইলে কিন্তু আপনার সময়টাকে এন্জয় করার জন্য চন্দন নিয়ে চমৎকার একটি গান ‘আতর গোলাপ সোয়া চন্দন” শুনতে শুনতেও সময়টা কাটাতে পারেন।
Learn more about Sandalwood Powder Health Benefits
Reviews
There are no reviews yet.