এই গরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে জেনে নিন সুপার ফাইভ ঘরোয়া টোটকা।

ত্বকের ব্যাপারে একটা কথা প্রচলিত যে আমাদের ত্বক কথা বলে।চমৎকার সুস্থ, সুন্দর ও লাবন্যময়ী ত্বকের আলাদা সুর রযেছে।ত্বক সুন্দর তো আমরা সুন্দর।ত্বক আমাদের স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্যের অনেকটা অংশ জুড়েই রয়েছে।ত্বকের রং যাইই হোক না কেন সুস্থ,সুন্দর,লাবন্যময় ত্বক আমরা সবাই ই পছন্দ করি।

কিন্তু ত্বক যদি হয় তৈলাক্ত ত্বক তাহলে আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য অনেকটাই হ্রাস পায়।যদিও প্রথম দৃস্টিতে তৈলাক্ত ত্বক অনেক উজ্জল দেখায় কিন্তু দীর্ঘসময়ের জন্য অয়েলি ত্বক আমাদের জন্য বয়ে আনে নানারকম ত্বকের সমস্যা।

সবচে বড় একটা প্রবলেম হলো তৈলাক্ত ত্বক নিয়ন্ত্রনে আনাটা বেশ কঠিন।বিশেষ করে এই গরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেয়াটা তো অনেকটা যুদ্ধের মত।আর এটা তো আমরা জানি যে তৈলাক্ত ত্বকের হাত ধরেই আসে ব্রণ,দাগ ছোপ,কালচে হয়ে যাওয়া,ত্বক টক্সিক হয়ে যাওয়া সহ আরো নানা ধরনের সমস্যা।

 

তাই এই গরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নের জন্য প্রয়োজন আলাদা এফোর্ট।

এখন,তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিতে যেয়ে চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃস্ট হয়ে আমরা অনেকেই নানা ধরনের কেমিক্যালযুক্ত প্রডাক্ট ব্যবহার করি।আমরা অনেকেই সাময়িক উপকারও হয়তোবা পাই কিন্তু লং টার্মে চিন্তা করলে দেখা যায় যে এই জাতীয় প্রডাক্টসগুলো আসলে অনেকটাই ক্ষতি করে ফেলেছে আমাদের ত্বকের।

কিন্তু আমরা চাইলে আমাদের হাতের নাগালে থাকা ঘরোয়া এবং তুলনামুলক সহজলভ্য উপাদান দিয়েও কিন্তু ত্বকের তৈলাক্ততা কমিয়ে আনতে পারি।

আজ আমরা জানবো যে কিভাবে এই গরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন আমরা নিতে পারি ঘরে থাকা কিছু উপাদান ব্যাবহার করেই।

চলুন তাহলে জেনে নেই এই গরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেবার জন্য চমৎকার পাঁচটি ঘরোয়া টোটকা যা জানলে বদ্যিবাড়ি ছুটতে হবে না আমাদের।

১.মধু:

নামটি যেমন মিস্টি ঠিক তেমনি এই চমৎকার ন্যাচারাল উপাদানটি তৈলাক্ত ত্বকের তৈলাক্ততা কমাতে অনেক মিস্টি ফলাফল দেয়।মধুতে রয়েছে এন্টিব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিসেপটিক গুণাবলি যা তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে দারুন কার্যকরী।

বলতে গেলে সবার ঘরে এটা থাকেই এবং এটাতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন,মিনারেল,এমাইনো এসিড,জিঙ্ক,আয়রন ইত্যাদি।আর উচ্চ মাত্রার এন্টিঅক্সিডেন্টাল হওয়ায় মধু তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে আইডিয়াল একটা উপাদান।

চলুন জেনে নেই যে মধু তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে কিভাবে উপকার করবে:

১.মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক ভাবে ত্বক আদ্র রাখার গুনাবলি,তাই এটি ত্বককে অয়েলি না করেই আদ্র রাখবে।

২.তৈলাক্ত ত্বক অনেক বেশি ব্যাকটেরিয়াপ্রবণ।মধু ত্বকের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে ভালো ভূমিকা রাখে।

৩.তৈলাক্ত ত্বক অনেক বেশি সেন্সিটিভ হয়ে থাকে, মধু ত্বকের ব্যথা বা ক্ষত সাড়িয়ে তোলে।

৪.যেহেতু তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে,তাই এক্ষেত্রে আটকে পড়া পোরস এর বন্ধ মুখগুলো খুলতে মধু সাহায্য করে।

গরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মধু যেভাবে আমরা ব্যবহার করতে পারি:

হাতের সাহায্যে বা ব্রাশের সাহায্যে একদম ত্বকে পাতলা লেয়ার করে মধু লাগিয়ে নিতে হবে ।
এরপর ১০ মিনিট মতো রাখতে হবে বা যতক্ষণ শুকিয়ে না যায় ততক্ষণ রাখতে হবে।
এরপর কুসুমগরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
এরপর যদি সম্ভব হয় তাহলে বরফ ঘষে নিতে পারলে ত্বকের অয়েলিভাব অনেকটাই কমে আসবে।

এছাড়াও মধুর সাথে হেম্পসীড  ফেসিয়াল অয়েল মিশিয়ে ত্বকে লাগানো যায় এবং এটা তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে খুব ভালো কাজ করে।

আপনার চাইলে অর্গানিকাওন স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড এর হেম্পসীড অয়েলটি  নিতে পারেন।এটি পুরোপুরি জিরো কমেডোজেনিক, কোল্ড প্রেসড,হালাল এবং কোন প্রকার এক্সট্রা কেমিক্যালস, প্যারাবেন বা সিন্থেটিক ফ্র্যাগরেন্স এর সংমিশ্রণ নেই বিধায় এটির ব্যবহার একেবারেই নিরাপদ।

২.ডিমের সাদা অংশ:

নানাবিধ পুস্টিগুণসমৃদ্ধ এই খাদ্যবস্তুটি স্বাস্থ্যগত উপকারীতা যেমনটা দেয় ঠিক তেমনি তৈলাক্ত ত্বকের যত্নেও  খুব ভালো কাজ করে।গরমে শরীরের জন্য যেমন ভালো,তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিতেও সুপার্ব।কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে আমরা শুধুমাত্র ডিমের সাদা অংশটি ব্যবহার করবো।এটাতে রয়েছে প্রটিন,সোডিয়াম,ক্যালরি,ফোলেট,সেলেনিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,ফসফরাস,পটাশিয়াম ইত্যাদি যা ত্বকের যত্নে অনেক উপকারী।এজন্য ডিমকে নিউট্রিশনাল পাওয়ার হাউজ ও বলা হয়ে থাকে।


তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে ডিমের সাদা অংশ কিভাবে কাজ করবে চলুন জেনে নেই:

১.ডিমের সাদা অংশ তৈলাক্ত ত্বকের অয়েল গ্রন্থির ওপর কাজ করে ত্বকের অতিরিক্ত সেবাম তৈরী হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনে।

.তৈলাক্ত ত্বকে যেহেতু ব্রণ হয় অনেক বেশি সেক্ষেত্রে ডিমের সাদা অংশে যেহেতু প্রটিন অনেক বেশি পরিমাণে থাকে তাই এটি ত্বকে হওয়া ব্রণের গর্ত বন্ধ করতে খুব ভালো কাজ করে।

৩.তৈলাক্ত ত্বক তুলনামুলক ঢিলেঢালা হয়ে যায়।তাই ডিমের সাদা অংশে থাকা এলবুমিন তৈলাক্ত ত্বকের যত্নের জন্য আদর্শ।এটি তৈলাক্ত ত্বকের দৃঢ়তা ও গঠন উন্নত করে।

কিভাবে ব্যাবহার করা যাবে ডিমের সাদা অংশ:

ডিম ঙেঙ্গে নিয়ে সাদা অংশটুকু আলাদা করে নিয়ে সেটাকে চামচের সাহায্যে ফেনিয়ে নিতে হবে।তারপর পরিস্কার ব্রাশ বা হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে সাদা অংশ পুরো ফেসে (চোখের নিচের অংশ বাদে) ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে।
এরপর ১০-১২ মিনিট মত রাখতে হবে।পরে শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।এরপর ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।অবশ্যই চেস্টা করতে হবে ন্যাচারাল ও অর্গানিক ময়েশ্চারাইজার লাগানোর।
কিন্তু এক্ষেত্রে একটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে যে যাদের ত্বকে ডিমের সাদা অংশ ইউজে এলার্জি হয় তারা সরাসরি ডিমের সাদা অংশ ত্বকে না লাগিয়ে মসুর ডাল গুড়ো,লেবুর রস বা অন্যান্য ফেসিয়াল প্যাকের সাথে মিশিয়েও ব্যবহার করা যাবে।

আপনারা চাইলে নিজেরা মসুর ডাল গুড়ো, করে নিতে পারেন বা বাইরে থেকেও ক্রয় করতে পারেন।অর্গানিকাওন স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড এ ভালো মানের মসুর ডাল গুড়ো পাওয়া যাবে।এগুলো নিজস্ব তত্বাবধানে সরাসরি ক্ষেত থেকে সংগৃহীত,কীটনাশক মুক্ত মসুর থেকে প্রস্তুতিকৃত।মান নিয়ে কোন কম্প্রোমাইজ করেনা দেখে এদের থেকে ক্রয়ের মাধ্যমে আমি বরাবরই সেফটি নিয়ে থাকি নিশ্চিন্ত।

৩.টমেটো:

গরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেবার জন্য অত্যন্ত চমৎকার এবং সহজলভ্য আরেকটি ঘরোয়া উপাদান হলো টমেটো।বলতে গেলে গরমের সময়ে এটি সব সময় ই আমাদের হাতের নাগালেই থাকে।

চলুন জেনে নেই যে টমেটো তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে কিভাবে কাজ করবে:

টমেটোতে রয়েছে প্রচুর মাত্রার এসট্রিনজেন্ট প্রপারটিজ যা তৈলাক্ত ত্বকের যত্নের জন্য আদর্শ।এছাড়াও স্যালিসাইলিক এসিড থাকার কারণে ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ততা এবং অশুদ্ধতা দূর করে আনে টমেটো।সাইট্রিক এসিড নামক ন্যাচারাল এসিড থাকার কারণে এগুলো ত্বকের সেবাম উৎপাদন কমিয়ে আনে এবং ব্রণের মুখগুলো বন্ধ করে । আর তৈলাক্ত ত্বক মানেই তো যেন ব্রণের হাতছানি থাকেই।
এছারাও ভিটামিন এ আর সি নামক শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে UV রেডিএশন এর ক্ষতি থেকেও  টমেটো তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেয় ।
তৈলাক্ত ত্বকে কোলাজেন প্রডাকশন অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে এই টমেটো।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় টমেটো:

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে টমেটো স্লাইস করে নিয়ে সরাসরি ত্বকে ঘষে নিয়ে টমেটোর রসটাকে ত্বকে রাখতে হবে  যতক্ষন না শুকায় ততক্ষণ ।পরে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

আরো ভালো ফলাফলের জন্য টমেটোর সাথে টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিলে চমৎকার ফলাফল পাওয়া যায়।

এক্ষেত্রেও আপনারা অর্গানিকাওনের ১০০% বিশুদ্ধ,হালাল ও ন্যাচারাল টি ট্রি অয়েলটি চুজ করতে পারেন।এন্টিব্যাকটেরিয়াল আর এন্টিফাংগাল ন্যাচার এর হওয়ায় এটি টমেটোর সাথে জুটি হয়ে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে দূর্দান্ত ভাবে কাজ করে।

৪.বেসন:

আমাদের সবার ঘরেই থাকা আরেকটি সহজলভ্য উপাদান হলো বেসন।মুখরোচক খাদ্য তৈরীর পাশাপাশি এটি যে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নেও অনেক কার্যকরী একটা উপাদান তা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না।
চলুন তাহলে জেনে নেই যে বেসন আমাদের তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে কিভাবে কাজ করবে।
এটাতে রয়েছে তেল শোষণের ক্ষমতা,তাই তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে বেসন ব্যবহার করলে এটি তৈলাক্ততা অনেকটাই কমিয়ে আনে।
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হয়ে ব্যথার সৃস্টি হয় বা ব্যথা না থাকলেও তৈলাক্ত ত্বকে চুলকানো প্রবণতা বেশি হয়ে থাকে।বেসনের রয়েছে এন্টিইনফ্ল্যামেটরী গুণাগুণ।এটি ত্বকের জ্বালা পোড়া এবং চুলকানোর ব্যাপারগুলো অনেকটাই কমিয়ে আনে।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে বেসন যেভাবে ব্যবহার করা যাবে:

বেসনের সাথে টক দই মিশিয়ে ক্বাথ বানিয়ে ত্বকে মাখা যায়।টক দই না পাওয়া গেলে শুধু পানি মিশিয়ে ক্বাথ বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নেয়া যায়।এরপর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
তবে ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে বেসনের সাথে মুলতানি মাটি মিশিয়ে ব্যবহার করলে আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

আপনার অর্গানিকাওনের মুলতানি মাটি একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন।এটি ১০০% ন্যাচারাল,হালাল এবং বিশুদ্ধ বিধায় এটি নিয়ে কোন প্রকার কোন দ্বিধা ছাড়াই ব্যবহার করা যায়।

৫.অ্যাপল সিডার ভিনিগার:

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে অ্যাপল সিডার ভিনিগার অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান।এটাতে থাকে প্রচুর পরিমানে আলফা হাইড্রক্সিল এসিড যা তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে দেয় নানাবিধ উপকারীতা।

চলুন জেনে নেই যে অ্যাপল সিডার ভিনেগার ত্বকের যত্নে কিভাবে কাজ করে:

এটাতে এসিডিক পিএইচ থাকে বিধায় অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকের পিএইচ ইমব্যালেন্স নিয়ন্ত্রণ করে এই অ্যাপল সিডার ভিনেগার।
এসট্রিনজেন্ট প্রপার্টি থাকার কারণে এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেয়।
আলফা হাইড্রক্সিল নামক এসিড থাকায় এটি তৈলাক্ত ত্বকের ডেড সেলস গুলো সরিয়ে ফেলতে ভালো কাজ করে।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রে ব্রণের সমস্যার মুখোমুখি হতেই হয় আমাদেরকে।অ্যাপল সিডার ভিনেগার যেহেতু এন্টিব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিমাইক্রোবায়াল তাই এটি তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ প্রবণতা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে।

গরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে অ্যাপল সিডার ভিনেগার যেভাবে ব্যবহার করা যাবে:

এক চা চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার এর সাথে তিন চা চামচ পানি মিশিয়ে নিয়ে তাতে তুলো ভিজিয়ে নিয়ে ত্বকে আলতো চেপে চেপে মুছে নিতে হবে।এই মিশ্রণের সাথে টি ট্রি অয়েল দুই তিন ফোঁটা এবং এক চা চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়েও ব্যবহার করা যায়।সেক্ষেত্রে এই পাতলা মিশ্রণটি হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে বা ব্রাশের সাহায্যে মেখে  নিয়ে অল্প কিছু সময় রেখে পরে পরিস্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

অ্যাপল সিডার ভিনেগার ক্রয়ের সময় খেয়াল রাখতে হবে যে অবশ্যই যেন এটি পরিশোধিত হয়।

বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের ই অ্যাপল সিডার ভিনেগার রয়েছে।সাদা চোখে সব বোঝাও যায় না আসলে ভালো কোনটা।জেনে বুঝে না কিনলে ঠকে যাবার সম্ভাবনাটাই তুলনামুলক বেশি।আমি পারসোনাল এক্সপেরিএন্স থেকে ভালো মানের একটা  অ্যাপল সিডার ভিনেগার সাজেস্ট করতে পারি ।সেটা হলো অর্গানিকাওন স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড এর অ্যাপল সিডার ভিনেগারটি

নিজস্ব তত্বাবধানে,গার্ডেন কালেক্টেড, কীটনাশকবিহীন ও প্রিজারভেটিভ মুক্ত এবং ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রস্তুতিকৃত অ্যাপল সিডার ভিনেগারটি সম্পূর্ণ নিরাপদ ও গুণে মানে অনন্য।আপনার চাইলে এটা একবার ব্যবহার করে দেখতে পারেন।আশা করছি আপনারা এটায় ভালো ফলাফল পাবেন।


তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেয়াটা একটা চরম ধৈর্য্যের বিষয়।কারণ ব্যাপারটা এমন যে জাস্ট কয়েকদিন যত্ন নিলাম আর হয়ে গেলো।এটা নিয়মিত ভাবে যত্নের সাথে করতে হয়। সাধারণ ত্বক বা অন্যান্য ত্বকে মাঝেমধ্যে একটু গ্যাপ পড়ে গেলেও যতটা না সমস্যা হয় তার চেয়ে অনেক বেশি সমস্যা হয় তৈলাক্ত ত্বকে।আর সবসময়ই তো দামি দামি প্রডাক্ট ইউজ করা যায় না বা সব সময়ই আমাদের এত কিছু ক্রয় করার জন্য হয়তোবা হাতে পর্যাপ্ত টাকা থাকে না।

তাছাড়াও কেমিক্যাল জাতীয় প্রডাক্ট ব্যাবহারের ক্ষয়ক্ষতি হবার ব্যাপারটাও তো একদম উড়িয়ে দেবার নয়।সেজন্য ঘরে থাকা এতসব নানাবিধ সহজলভ্য উপাদানগুলো দিয়ে আমরা যদি নিয়মিতভাবে কিছুটা সময় নিজেদের কিছুটা কেয়ার নেই তাহলে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিয়ে চিন্তাটা অনেকটাই কমে আসবে আমাদের।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিতে যেয়ে এতসব ঘরোয়া জিনিসের ব্যাবহার আমাদেরকে যেমন অর্থনৈতিক খরচা কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে ঠিক তেমনি আমাদের ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করার পাশাপাশি ত্বক করে তুলবে স্বাস্থ্যকর, সুন্দর ও লাবন্যময়।


আজ এ পর্যন্তই।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থতার সাথে।