অর্গানিকাওনের কুমকুমাদি অয়েল :প্রাচীন এই ম্যাজিকাল মিরাকল অল ইন ওয়ান অয়েলটি একবার ব্যাবহারেই আপনি এর প্রেমে পড়ে যাবেন।

সুন্দর তারুণ্যময় ত্বকের পূজারী আমরা সবাই। সুস্থ সুন্দর লাবণ্যময় ত্বকের প্রতি  আমাদের আকর্ষণ চিরন্তন এবং ইয়ংগার লুকিং এর প্রতি  আমরা সকলেই আকর্ষিত। আর এই যে  একটা তীব্র  আকাঙ্খা  এটা কিন্তু সেই প্রাচীনকাল থেকেই বিদ্যমান। যুগ যুগ ধরেই নানা সময়ে নানা জাতিতে আমরা রূপচর্চার ইতিহাস খুঁজে পাই। বিজ্ঞানের নানা রকম রিসার্চ,হাজারো স্কিন কেয়ার প্রডাক্টের ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেকে ভেঙ্গেচুড়ে প্রতিনিয়ত তরুণ, লাবন্যময় ও সুন্দর থাকার যে আজন্ম সাধ সেটা  আসলে সৃস্টির শুরু থেকেই বিরাজমান । বিভিন্ন সময়কালে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে প্রতিনিয়ত নানাবিধ খোঁজ চলেছে নিজেকে সুন্দর রাখার,বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়া থেকে নিজেকে মুক্ত করার। এজন্য মানুষ সব সময়েই চেস্টা করেছে নানাবিধ উপাদান বা রেসিপি আবিস্কারের।এত কিছুর মধ্যেই কিছু সংস্কৃতি অনেক বেশি ফোকাসড হয়েছে তাদের নানাবিধ স্কিন কেয়ার রেসিপির জন্য।

প্রাচীন ইজিপশিয়ান সাম্রাজ্য,মিশরীয়,চাইনিজ,ভারতীয় সহ আরো নানা বিচিত্র সব সংস্কৃতিতে আমরা পেয়ে এসেছি নানারকম সব ট্রীটমেন্টস। যুগে যুগে হয়তো অনেক কিছুই কম বেশি চেন্জ হয়েছে কিন্তু মনের ভেতরে সুন্দর ও তারুণ্যময় থাকার যে একটা সুপ্ত বাসনা  সেটা সবসময়ই বিদ্যমান।তার প্রেক্ষাপটে রূপ সৌন্দর্যের উপাদানে ঘটেছে নানাবিধ সংযোজন।

এত কিছুর মধ্যে আজ আমরা ভারতীয় সংস্কৃতির অন্যতম একটি প্রাচীন ফেসিয়াল স্কিন ট্রিটমেন্ট নিয়ে আলোচনা করবো।এই আর্টিকেলটিতে আমরা  জানবো প্রাচীন  সময় থেকেই কার্যকরী একটি চমৎকার ম্যাজিকাল ফেসিয়াল সিরাম সম্পর্কে যেগুলো আপনাকে সাহায্য করবে সুন্দর ও তারুণ্যময় ত্বক ধরে রাখতে।

সেই প্রাচীনকাল থেকেই ভারতবর্ষ বিখ্যাত তার নানাবিধ সংস্কৃতির জন্য।সৌন্দর্যের পূজারী এই দেশটির ইতিহাস ঘাটলে আমরা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের এক অবাধ বিচরণ দেখতে পাই।তারই হাত ধরে চমৎকার এক সৌন্দর্য উপাদানের কথা না বল্লেই নয় যা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এক অনন্য জায়গা নিয়ে রেখেছে।

তো সুপ্রিয় পাঠক চলুন তাহলে আজ আমরা জানবো এই চমৎকার প্রাচীন ম্যাজিকাল বিউটি ট্রিটমেন্ট নিয়ে।

 

এতদিন ধরে কত কিছুই তো ব্যাবহার করেছেন অয়েলি ত্বকের জন্য।বিভিন্ন কেমিক্যাল প্রডাক্ট ব্যাবহার করে করে ত্বকটাকে করে তুলেছেন বিবর্ণ এবং হারিয়ে ফেলেছেন আপনার লাবণ্যতা।আচ্ছা,বলুন তো কেমন হবে যদি আমি আপনাদেরকে খুজে বের করে এনে দেই আশ্চর্য চমৎকার একটি ন্যাচারাল প্রডাক্ট নাদের জন্য ন্যাচারাল উপাদানের সমন্বয়ে তৈরী চমৎকার একটি সলিউশ্যন।সেটা হলো কুমকুমাদি তেল বা কুমকুমাদি অয়েলাম।প্রাচীন আয়ূর্বেদীয় শাস্ত্রে এ ব্যাপারে বিশদ বলা আছে।রাজকীয় পরিবারের সদস্যরা তাদের রূপচর্চায় এই অয়েলটির ব্যাবহার করেছেন এবং এখনও এটির ব্যাবহার সর্বজনবিদিত।

চলুন জেনে নেই যে কুমকুমাদি তেলটি আপনার কি কি উপকার করবে:

বয়সজনিত ত্বকের বিভিন্ন সমস্যাগুলো কমিয়ে আনে:

সবচেয়ে প্রধান যে কাজটি এই তেলটি করবে সেটা হলো যে বয়সের কারনে ত্বকের ভাঁজ পড়ে যাওয়া,ত্বকের টাইটেনিং ভাব কমে যাওয়া,দাগ ছোপ পড়ে বসে যাওয়া এবং স্ট্রেচ লাইনিং ব্যাপারগুলো আস্তে আস্তে অনেকাংশেই কমিয়ে নিয়ে আসবে এবং আপনাকে একটা ইয়ংগার লুকে নিয়ে আসবে।

 

ত্বক ব্রাইট এবং রেডিএন্ট করে:

নানা ধরনের ফলমুলের ভিটামিন,শাক সব্জির পুস্টিগুন ও ঔষধি জাতীয় হার্বসের ব্যাবহারের কারণে কুমকুমাদি অয়েল ত্বকে এসট্রিনজেন্ট প্রপারটিজ হিসেবে কাজ করে।ত্বক ভেতর থেকে উজ্জল করে তোলে,গ্লো করায় এবং রেডিএন্ট একটা ভাইবস তৈরী করে।

চোখের নিচের ডার্ক স্পট দূর করবে:

আমাদের চোখের নিচের চামড়া অত্যন্ত সেন্সেটিভ।যেনতেন কিছু বা কেমিক্যাল ইন্ডিডিয়েন্টস এখানে ব্যাবহার করে অনেকেই অনকে সমস্যায় পড়েন।সেই ক্ষেত্রে কুমকুমাদি তেল বিশ্বস্ত বন্ধুর মত।এটির বিভিন্ন হার্বস এবং ফলের নির্যাস আপনার চোখের ডার্ক সার্কেল কমিয়ে কার্যকরী ফলাফল দেবে।চোখের নিচে এই তেল আলতো হাতে ম্যাসাজ করে নিয়ে সারারাত রাখুন।এভাবে নিয়মিত ব্যাবহারে আপনার ডার্ক স্পট ধীরে ধীরে রিমুভ হবেই।তবে প্রথমবার ব্যাবহারের পূর্বে অল্প একটু নিয়ে হাতে লাগিয়ে  টেস্ট করে নিতে হবে যে কোন জ্বালাপোড়া বা চুলকানি হচ্ছে কিনা।

ত্বকের টেক্সচার এবং কমপ্লেকশনকে উন্নত করবে:

দীর্ঘদিনের দূষণ,কেমিক্যাল প্রডাক্টস ইউজ,সানবার্ণ,স্ট্রেস,অবসাদ,আনহেল্থি খাদ্যাভ্যাস,স্মোকিং,ঘুমের অপর্যাপ্ততা ইত্যাদি নানা কারণে আমাদের ত্বক হারিয়ে ফেলে তার সহজাত সৌন্দর্য এবং ভঙ্গুর হয়ে পড়ে ভেতর থেকে।কুমকুমাদি অয়েলে ব্যাবহৃত বিভিন্ন ইনগ্রিয়েন্টেস এর নানারকম ভিটামিন,মিনারেল এর সহায়তায় পুনর্গঠিত হয়ে ত্বক আবার নিজেকে স্বকীয়ভাবে দাড় করানোর শক্তি পায়।

 

ভেতর থেকে কাজ করে ত্বকের কোষ সমুহকে উদ্দীপ্ত করে তোলে।যার দরূন ত্বক সুন্দর গঠন ফিরে পায় এবং ইভেন টোন হয়।

ত্বককে হাইবার্নেট করে:

কুমকুমাদি তেল উচ্চমাত্রার ন্যাচারাল অক্সিডেটিভ সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ত্বককে উত্তমরুপে হাইবার্নেট করে ত্বকের পানি শোষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

সুর্যের ক্ষতিকারক রশ্নি থেকে সুরক্ষা দান করে:

সুর্যের ক্ষতিকারক UVA এবং UVB রশ্নির ভয়াবহ ক্ষতি থেকে ত্বককে সুরক্ষা প্রদান করে।এছারাও চুলার তাপে কাজ করতে যেয়ে মুখের নরম ত্বক সহজেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়।কুমকুমাদি তেল সেই ক্ষতি থেকেও ত্বককে প্রটেক্ট করে।

দাগ ছোপ দূর করে:

বয়সজনিত দাগের ওপর এই তেলটি যাদূর মতো কাজ করে।তাছারাও একমাত্র জন্মদাগ ছাড়া কোন আচড়ের দাগ,নখের দাগ,ধারালো কোন কিছুতে কেটে যাওয়ার কারনে হওয়া দাগ,তেলের ছিটার দাগ,এলার্জির কারনে কোন দাগ বসে যাওয়া এই সমস্ত দাগগুলো আস্তে আস্তে পরিপূর্ন ব্যাবহারে মিলিয়ে যায়।

ব্রণের দাগ দূর করে এবং প্রতিরোধ করে:

ব্রণের দাগ দূর হওয়া যেন এক ভয়াবহ কঠিন ব্যাপার।এই দাগগুলো আপনার সুন্দর ফেসটির সৌন্দর্য অনেকটাই নস্ট করে দেয়।কুমকুমাদি তেলের বিভিন্ন রকম ঔষধীয় উপাদান ব্রণ নিরসনে চমৎকারভাবে কাজ করে।দাগ দূর করে এবং পোরস এর মুখ গুলোকে মিলিয়ে যেতে  সাহায্য করে। ব্রণের পুনরায় ফিরে আসাকেও প্রতিহত করে।

 

ত্বকে পুস্টি যোগায় এবং নারিশিং করে:

ত্বকে দৃশ্যমান কোনো সমস্যা হয়তো এখন দেখা যাচ্ছেনা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে হয়তো ক্ষতি হচ্ছে।এই কুমকুমাদি তেলটির ব্যাবহারে আপনার ত্বক পুস্টির একটি সঠিক মাত্রার যোগান পাবে এবং ত্বককে আগে থেকেই প্রস্তত করে তুলবে যেন সে ভেতর থেকেই ক্ষতি হওয়া প্রতিরোধ করতে পারে।

কুমকুমাদি অয়েল কিভাবে ব্যাবহার করতে হবে:

১. সবচেয়ে প্রচলিত এবং সহজ পদ্ধতি হলো রাতে ঘুমানোর আগে মুখ পরিস্কার করে নিয়ে কুমকুমাদি অয়েলটি ব্যাবহার করা।হাতের তালুতে দুই তিন ফোঁটা কুমকুমাদি অয়েল নিয়ে মুখে এপ্লাই করতে হবে।পরে আপওয়ার্ড স্ট্রোক বা পুরো মুখে ওপরের দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজিং এর মাধ্যমে অয়েলটি মেখে নিতে হবে।পুরো রাত রেখে সকালে পরিস্কার পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

এছারাও আরো নানা ভাবেই এই অয়েলটি ব্যাবহার করা  যায়।

২.পিগমেন্টেশন দূর করার জন্য কটন বলে কুমকুমাদি অয়েল লাগিয়ে নিয়ে চোখের নিচের পিগমেন্টেড অংশে লাগিয়ে  পুরো রাত রাখুন।

৩.পোরস ক্লিনজিং এর জন্য  গরম পানিতে ৫-১০ ড্রপস কুমকুমাদি অয়েল মিশিয়ে নিয়ে মুখের সামনে কিছুক্ষণ রেখে ওয়েট করতে হবে।এভাবে আস্তে আস্তে ওপেন পোরস এর সমস্যা দূর হবে।

৪.চোখের নিচের অংশের ফোলা ভাব কমানোর জন্য রাতে ঘুমানোর আগে কুমকুমাদি অয়েল কয়েক ফোঁটা নিয়ে চোখের নিচে লাগিয়ে নিতে হবে।

 

.কোষ রিজেনারেশন এবং ত্বকের বয়স্ক ভাব কমানোর জন্য গোসলের পানিতে কয়েক ফোঁটা কুমকুমাদি অয়েল মিশিয়ে  নিয়ে শাওয়ার নেয়া যায়।

চমৎকার এই প্রাচীন আয়ুর্বেদিক কুমকুমাদি অয়েল রূপচর্চার অন্যতম অনুষঙ্গ।তবে কথা হলো যে কুমকুমাদি অয়েলটি অবশ্যই বিশ্বস্ত জায়গা থেকে ক্রয় করতে হবে।ভেজাল জিনিস কিনে নিজের স্কিনের ক্ষতি তো আমরা কেউ করতে চাইবো না নিশ্চয়ই।

বাজারে  অনেক ব্র্যান্ডের কুমকুমাদি অয়েল রয়েছে।কিন্তু সবই যে অরিজিনাল ব্যাপারটা ঠিক তাও নয়।সেজন্য আপনারা চাইলে অর্গানিকাওন স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড এর “কুমকুমাদি” অয়েলটি নিতে পারেন।

অর্গানিকাওন ব্র্যান্ড গত তিন বছর ধরে সুনামের সাথে বিজনেস করছে।এদের কুমকুমাদি অয়েলটি সম্পূর্ণ হালাল,কেমিক্যাল ফ্রি এবং নানাবিধ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরী বিধায় এর ব্যাবহার নিরাপদ।তাছারাও কুমকুমাদি অয়েলটির রিভিউগুলো দেখে এটির সম্পর্কে আর কোন সন্দেহের অবকাশ থাকেনা।

চলুন দেখে নেই  অর্গানিকাওনের কুমকুমাদি অয়েলটিতে কি কি উপাদান ব্যাবহৃত হয়েছে :

কুমকুমাদি অয়েল বা অয়েলামের উপাদানগুলো সম্পর্কে জানলেই আপনি ধারণা পেয়ে যাবেন যে কি চমৎকার এক ম্যাজিকাল অয়েল এটি।

কুমকুমাদি তেলে বিভিন্ন ধরনের উপকারী উদ্ভিদ ও ফলের মূল,পাতা,ছাল,নির্যাস ব্যাবহার করা হয়।

প্রথমেই জানবো মূল সম্পর্কে।বিভিন্ন উদ্ভিদ এর মূলীয় অংশ মানে শেকড় এখানে ব্যাবহার করা হয়।

তন্মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য কতগুলো হলো:

১.ভুতভৈরবী :

এটাকে অগ্নিমন্থ গাছও বলা হয়।ত্বকের সোয়ালোনেস বা ফুলে যাওয়ার প্রবণতায় এটি দূর্দান্ত কাজ করে।

২.বেল:

এটিতে থাকা প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ,ভিটামিন সি,ক্যালসিয়াম,ফসফরাস ত্বকে এন্টিএজিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে।

৩.গোক্ষুরা উদ্ভিদ:

গোক্ষুরা বা গরুর ক্ষুর নামক উদ্ভিদটির রয়েছ ত্বকে পানির তারতম্য বজায় রাখার শক্তি।

.কন্টিকারি:

এই কাঁটাময় উদ্ভিদটির ঔষধীয় গুনাবলি ত্বকের জ্বলনশীলতা বা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

৫.গামারি:

এটির ডিটক্সিফাইইং করার ক্ষমতা ত্বকের টানটান থাকা এবং ত্বকের প্রদাহে ভালো কাজ করে।

.পাটালা:

পাটালা গাছের মূলের ব্যাবহার ত্বকের ফুলে যাওয়া এবং এলার্জিজনিত সমস্যা কমায়।

.শালপর্ণী:

এই উদ্ভিদটি এক্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে।

.সোনাপাতা:

এটি ত্বকের ক্ষত সারাতে সহায়তা করে।

কিছু উপাদান ব্যাবহার করা হয় যেগুলো পেস্ট করে নিয়ে ব্যাবহার করা হয়:

.মন্জিস্ঠা:

মন্জিস্ঠা দাগ সারাতে চমৎকার কাজ করে।

১০.যস্ঠিমধূ:

এটি ত্বককে ভেতর থেকে পুস্টি যোগায়।

১১.মহুয়া:

এটির ভেতরকার এন্টিএজিং উপাদান ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রক্ষা করে এবং সানবার্ণ থেকেও বাঁচায়।

১২.ল্যাক:

এটির থেকে প্রাপ্ত নির্যাস ত্বকে জ্বালাপোড়া কমায়।

১৩.সিসালপিনিয়া:

এই গাছের ছাল ব্যাবহৃত হয় ত্বকের ছোপ ছোপ দাগ এবং মেছতার দাগ দূর করতে।

ক্বাথ হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছে যেগুলো:

১৪.স্যাফ্রন কেশর:

স্যাফ্রনের ব্যাবহার  আমাদের ত্বকের কালার কমপ্লেকশন উন্নত করে,দাগ ছোপ কমায়,ত্বকের ক্ষত সারায় এবং ত্বকে গোলাপি একটা আভা আনে।

১৫.লাল চন্দন:

লাল চন্দন ত্বককে হাইবার্নেট করে,অক্সিডাইজেশন ঘটায় এবং চমৎকার একটি লালাভ আভা তৈরীতে সহায়তা করে।

১৬.বট :

বট বৃক্ষের ফলের নির্যাস ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে।

১৭.লক্ষী পাকুড় বা ডুমুর:

এটির ঔষধীয় গুনাবলি এলার্জিক ত্বকের সমস্যায় এন্টিবায়োটিক রূপে কাজ করে।

১৮.নীল পদ্নের রেনু:

পদ্ন ফুলে রয়েছে এন্টিএজিং উপাদান।প্রাচীন যুগ থেকেই এটি রুপচর্চার অন্যতম অনুষঙ্গ।

১৯.লাল পদ্ন বা কমল কেশর বা স্যাক্রেড লোটাস:

এই সুন্দর ফুলটির ব্যাবহার হয় এজন্য যে এটি একটি মারাত্নক এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং এটি ত্বকের ব্যাকটেরিয়া নির্মূলে কাজ করে।

২০.সুট্রো বা সুম্বল বা গাছের হলুদ:

এটি ত্বককে উজ্জলতর হতে সাহায্য করে।

২১.লেমনগ্রাস:

এটি ত্বককে সুরক্ষা দেয়,উজ্জল করে,এন্টিব্যাকটেরিয়ালরূপে কাজ করে।

২২.আমন্ড বাদাম:

এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে।

২৩.তিলের তেল:

এটি ত্বককে সতেজ  করে তোলে।

২৪.গোট মিল্ক:

গোট মিল্ক ত্বকের নারিশিং,হাইবার্নেট এবং ব্রাইট হতে সাহায্য করে।

২৫.গোলাপের জল:

এটি সুন্দর সতেজএবং ফ্রেশ একটা ভাব আনে।

২৬.বাদামের তেল:

বিভিন্ন ধরনের বাদাম তেল ব্যাবহার করা হয় ত্বকের নারিশিং এর জন্য।

২৭.কমলার খোসা এবং এলোভেরা:

এগুলোতে থাকা শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে প্রাণোচ্ছল করে তোলে।

২৮.অন্যান্য ফল:

লেবু,পাকা পেপে,আম,তরমুজ,গাজর,স্ট্রবেরি,মালবেরি ইত্যাদি নানা ফল ব্যাবহার হয় ভিটামিন এবং মিনারেল নেবার জন্য।

 

এছারাও রোজমেরী,টি ট্রি অয়েল,ল্যাভেন্ডার অয়েল এসেন্সিয়াল অয়েল হিসেবে এবং নারিকেল তেল,আমন্ড অয়েল ক্যারিআর অয়েল হিসেবে ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।

হাজারো ভেজালের ভীড়ে ভালো এবং কার্যকরী কুমকুমাদি অয়েল পেতে চাইলে আপনি নিশ্চিন্তে অর্গানিকাওনের কুমকুমাদি অয়েলটি নির্ভরতার সাথে ব্যাবহার করতে পারেন।নানাবিধ ফলমূল,হার্বসবিচিত্র সব ফুলের নির্যাস এবং এসেন্সিয়াল অয়েলের সংমিশ্রণে তৈরী এই চমৎকার ফেসিয়াল সিরামটি আপনার সৌন্দর্যকে রাখবে অমলিন।

 

আপনারা চাইলে অর্গানিকাওনের কুমকুমাদি অয়েলটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

 

আজ এ পর্যন্তই।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থতার সাথে।