বিটরুট গুড়া Beetroot Powder 50gm

0 Reviews Write a review

350.00৳ 

চুলের যত্নে বিটরুট গুড়া

(১)লম্বা ও ঘন চুল তৈরীতে সাহায্য করে।

(২)খুশকি দূর করে।

(৩)চুলের অকালপক্কতা রোধ করে।

(৪)চুল পড়া কমায়।

Description

বিটরুট গুড়া

সুন্দর লালচে বেগুনী রং এর বিটরুট আমরা অনেকেই চিনি এবং আমাদের অনেকেরই পছন্দও। কিন্তু বিটরুট যে আমাদের স্বাস্থ্য, ত্বক ও চুলের যত্নে যে কতটা কার্যকরী তা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা।চলুন তাহলে আজ প্রথমেই জানবো বিটরুট এর উপকারিতার ব্যপারে। বিটরুট কেটে শুকিয়ে গুড়ো করে নিয়ে বিটরুট গুড়া তৈরী হয়ে থাকে।

 

স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বিটরুট এর উপকারিতা

 

(১)প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট প্রপারটিজ রয়েছে:

বিটরুটে বেটালেইনস ও বিটাসায়ানিন নামক এন্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের

ক্ষয়ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে,ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করে,কোষের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে

সাহায্য করে,ক্যান্সার আক্রমণের হার কমিয়ে আনে।

 

(২)ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:

বিটরুটে রয়েছে প্রাকৃতিক নাইট্রেট যা নাইট্রিক অক্সাইডে পরিবর্তিত হয়ে শরীরে একটা সতেজ

অনুভূতি দেয়,রক্তের শিরাগুলোকে পরিশুদ্ধ করে,রক্ত প্রবাহ উন্নত করে এবং এভাবে সার্বিক

ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে দূর্দান্ত ভূমিকা রাখে।

 

(৩) বিবিধ পুস্টিগুণ সমৃদ্ধ:

বিটরুটে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম,প্রটিন,আয়রন,ফাইবার,ম্যাঙ্গানিজ,ভিটামিন বি ৬ বা

পাইরোডক্সিন,ফোলেট ইত্যাদি।এতকিছু মিলে বিটরুট আমাদের শরীরে ওভারঅল উপকারীতা দেয়।

 

(৪)হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে:

নিয়মিত বিটরুট গুড়া সেবন করতে থাকলে শরীরে HDL(High density Lipoprotein) বা গুড

কোলেস্টরল লেভেল বাড়িয়ে তোলে এবং

LDL(Low density Lipoprotein) বা ব্যাড কোলেস্টরল লেভেল কমিয়ে আনে।এতে করে

এথেরোস্কেলেসিস বা ধমনি সংকুচিত হয়ে যাওয়ার সমস্যা ও হার্ট এটাকের প্রবণতা কমে আসে

আশানুরূপভাবে।

 

(৫)হজম প্রক্রিয়া উন্নতকরণ:

বিটরুটে রয়েছে প্রচুর মাত্রার প্রবায়োটিক ফাইবার যা পরিপাক সমন্ধীয় ব্যাপার,বাওয়েল

মুভমেন্টস বা (Defecation) বা মলত্যাগ,অন্ত্রের স্বাস্থ্য,লিভার পরিশুদ্ধকরণ জাতীয়

সমস্যাগুলোর ওপর ভালো কাজ করে এবং আস্তে আস্তে এগুলো সমাধান করে আনে।

 

বিটরুট খাওয়ার নিয়ম

 

বলা হয়ে থাকে যে এক চা চামচ বিটরুট গুড়া সম্পূর্ণ একটি বিটরুটের সমান পুস্টি দিয়ে

থাকে।প্রতিদিনকার পুস্টির ৩% -১৬% পুস্টি কাভার হয়ে যায় এই এক চা চামচ বিটরুট গুড়া

থেকে।বিটরুট গুড়া স্যালাড,স্মুদি(বিশেষ করে আঙ্গুর, কলা,ভিটামিন সি জাতীয় ফলের স্মুদিগুলোর

সাথে),বেকিং প্রডাক্টস যেমন কেক,বিস্কিট,মাফিন ইত্যাদির সাথে),স্যুপ ,পাস্তা বা নুডুলস,বাসায়

তৈরীকৃত কোন এনার্জি বল বা পিনাট বারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।এছাড়া কফি বা হট চকোলেটের

সাথে মিশিয়েও আপনি এনজয় করতে পারেন বিটরুটের অসাম টেস্ট ও এনার্জি।এতে করে আপনি

প্রতি চুমুকেই বিটরুটের ইউনিক ফ্লেভার ও কালার পেয়ে যাবেন ।

 

প্রডাক্টের ধরণ:বিটরুট স্লাইস করে কেটে শুকিয়ে গুড়ো করে নেওয়া।

ন্যাচার:প্রাকৃতিক,অর্গানিক,হালাল ও কীটনাশকমুক্ত।

 

ব্র্যান্ড:অর্গানিকাওন স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড।

প্রডাক্টের ওজন:৫০ গ্রাম ।

 

ত্বকের যত্নে বিটরুট গুড়া:

 

(১) ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়,গঠন উন্নত করে:

 

যেহেতু প্রচুর পরিমানে বেটানেইল রয়েছে বিটরুটে তাই বিটরুট মাস্ক,বিটরুট টোনার ইত্যাদি বানিয়ে

নিয়মিত ইউজ করতে থাকলে ত্বক ভেতর থেকে উজ্জল হয়ে উঠবে এবং ত্বকের গঠনও উন্নত

হবে।সেজন্য হাফ চা চামচ বিটরুট গুড়ার সাথে হাফ চা চামচ মধু ও টক দই মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে

ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট মতো রেখে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

বিটরুট টোনার বানাতে ২০০ মিলি. পানির সাথে এক চা চামচ বিটরুট গুড়া মিশিয়ে নিয়ে স্প্রে বোতলে

নিয়ে নিন।সেটা কটন বলে লাগিয়ে ত্বকে ইউজ করুন।

 

(২)ব্রণ নিরাময় করে:

 

বিটরুট গুড়ার সাথে টকদই+দুই কোয়া রসুনের রস করে নিয়ে ব্রণাক্রান্ত স্থানে ১০ মিনিট মতো

রেখে ধুয়ে ফেলুন।এটি ব্রণ নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকরী।

 

(৩)ডার্ক সার্কেলস দূর করে এবং ঠোঁটের কালচে দাগ তুলে গোলাপি করে তোলে:

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে অল্প বিটরুট গুড়া+নারিকেল তেল+ হলুদ গুড়ো মিশিয়ে পেস্ট

বানিয়ে চোখের নিচে ও চারপাশে ১০ মিনিট রেখে পাতলা পরিস্কার সুতি কাপড় ভিজিয়ে আলতোভাবে

ডলে তুলে ফেলুন।আর ঠোঁটের কালচে দাগ দূর করতে লেবুর রসের সাথে বিটরুট গুড়া মিশিয়ে ঠোঁটে

লাগিয়ে ৫/৭ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।নিয়মিত করুন।

 

(৪)ত্বকে বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমায়:

 

অধিক মাত্রায় এন্টিঅক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ থাকার কারণে এটা ফ্রি রেডিক্যালস এর বিরুদ্ধে

লড়াই করে যা আমাদের ত্বকে বয়সের ছাপ ফেলে দেয়।বিটরুট রিঙ্কেলস,ফাইন লাইন্স,দাগ ছোপ

এগুলো দূর করে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া প্রক্রিয়াকে হ্রাস করে।

এজন্য হাফ চা চামচ বিটরুট গুড়ার সাথে দুই চা চামচ টমেটোর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে হালকা

শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রেখে তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে।

 

চুলে বিটরুট ব্যবহার:

যেকোন হেয়ার প্যাকের সাথে বিটরুট গুড়া মিশিয়ে সপ্তাহে অন্তত দূবার এটি ইউজ করতে থাকলে

সমস্যাগুলো কমে আসবে।বেশি পরিমানে চুল পড়তে থাকলে দুই চা চামচ বিটরুট গুড়া+দুই চা চামচ

আদার রস+ Olive Oil মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে এক ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে

হবে।সপ্তাহে দুদিন মতো করতে পারলে সমস্যা কমে আসবে আশানুরূপ।

 

অর্গানিকাওনের বিটরুট গুড়ার বিশেষত্ব:

 

১.সম্পূর্ণ নিজস্ব তত্বাবধানে ক্ষেত থেকে ভালো মানের পরিপুস্ট বিটরুট সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।

 

২. পোকামাকড়মুক্ত ও কীটনাশকমুক্ত কিনা এ ব্যপারে থাকে সজাগ দৃষ্টি।

৩.বাছাইকৃত ও ভালোমানের বিটরুট থেকে সম্পূর্ণ প্রস্তুতিকৃত।

৪.কোন অন্যান্য গাছের শেকড় ও কেমিক্যালস এবং প্রিজারভেটিভ ইউজ করা হয়নি।

৫.গুণগত মান ও নিউট্রিয়েন্ট ভ্যালু ঠিক রাখার প্রতি সম্পূর্ণ যত্নশীল।

৬.কোন আলাদা ফ্র্যাগরেন্স ইউজ করা হয়নি।

৭.সঠিকভাবে রোদে শুকানো হয়েছে,তাই রয়েছে দীর্ঘদিন প্রডাক্ট ভালো থাকার নিশ্চয়তা।

 

বিটরুট পাউডার সংরক্ষণে সতর্কতা

 

বিটরুট পাউডার কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করতে পারলে এটা দীর্ঘদিন ভালো রাখা যাবে।ওপরের মুখটা

হালকা রং এর সারফেস বা পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে পারলে প্রডাক্টের মান ও গুণ দীর্ঘদিন

বজায় থাকবে।মাঝে মাঝে রোদে দিতে পারলে ভালো।তবে কোন কারনে রোদে না দিতে পারলেও

কখনোই চুলোর তাপে দেয়া যাবেনা।এতে করে নিউট্রিশন নস্ট হবে।

 

Back to Top
//
Our customer support team is here to answer your questions. Ask us anything!
👋 Hi, how can I help?

Search For Products

Product has been added to your cart