Description
যষ্টি মধু গুড়া(Licorice powder)
যষ্টি মধু (Licorice) হলো প্রাচীনতম একটি আয়ুর্বেদিক জনপ্রিয় মশলা যা মুলত গ্লাইসাইররিজা গ্লাবরা নামক এক ধরনের বিরুৎ জাতীয় গাছের শেকড়।যষ্টি মধু গাছের শেকড়টিকে শুকিয়ে গুড়ো করে ইউজ করা হয়।স্কিন কেয়ার,হেয়ার কেয়ার ছাড়াও এই Licorice Powder এর রয়েছে দূর্দান্ত সব স্বাস্থ্যগত উপকারিতা।
চুলের যত্নে যষ্টি মধু র ব্যবহার(Hair care benefits of Licorice Powder).
১.চুল পড়া বন্ধ করতে:
ন্যাচারাল রেমিডি হিসেবে যষ্টি মধু গুড়া চুল পড়ার সমস্যায় দূর্দান্ত কার্যকরী।হেয়ার ফলিকলসগুলোতে প্রয়োজনীয় পুস্টি শোষিত হতে এটি চমৎকার কাজ করে।
চুলের গোড়া মজবুত করে তোলে এবং এভাবে চুল পড়া ধীরে ধীরে বন্ধ হয়।এজন্য পেয়াজের রসের সাথে যষ্টি মধু গুড়ো মিশিয়ে এবং সাথে পরিমানমতো পানি নিয়ে ক্বাথ বানিয়ে স্ক্যাল্পে মেখে নিয়ে আধা ঘন্টা মত রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।সাথে আমলকির গুড়ো এড করা যেতে পারে।
২.খুশকি এবং ফাংগাল ইন্ফেকশন দূর করে:
মাথাভর্তি খুশকি আর স্ক্যাল্প ইন্ফেকশন নিয়ে যারা সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি একটি অত্যন্ত ভালো ন্যাচারাল সমাধান।সেজন্য যষ্টি মধু গুড়োর সাথে দুইতিন কোয়া রসুন থেঁতলে রস বের করে নিয়ে মিক্স করে নিতে হবে।সাথে পরিমানমতো পানি ও সামান্য ভিনেগার মিশিয়ে সেই মিশ্রণ পাতলা লেয়ার করে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে রাখতে হবে ২০ মিনিট মত।পরবর্তিতে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৩. নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে:
যষ্টি মধু যে শুধুমাত্র চুল পড়া বন্ধ করে সেটাই না,এটি প্রচুর মাত্রায় নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।এটি হেয়ার ফলিকলসগুলোতে পুস্টি এবং অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এবং এভাবে করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।এজন্য এক চা চামচ যষ্টি মধু গুড়া এবং আধা চা চামচ আদাবাটার সাথে চায়ের লিকার মিশিয়ে সেই মিশ্রণ পুরো চুলের গোড়ায় মাখতে হবে।আধা ঘন্টা মত রেখে তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে।
৪.চুলের বৃদ্ধি ঘটায়,চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে,চুলের ভেঙ্গে যাওয়া প্রতিরোধ করে:
এটি চুল লম্বা হতে সাহায্য করে,চুলকে আরো বেশি স্বাস্থ্যজ্জল (healthy)করে তোলে,চুলের মাথা দু’ভাগ হয়ে যাওয়া(split end) প্রতিরোধ করে,চুলকে দৃঢ়(strong) করে তোলে ।এক চা চামচ যষ্টি মধু গুড়োর সাথে সম্পূর্ণ একটি মাঝারি সাইজের আলুর রস করে নিয়ে এবং দুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙ্গে নিয়ে মিক্স করে নিতে হবে।এরপর তাতে একটি ডিম মিশিয়ে পুরো চুলে মেখে নিতে হবে।ডিমের গন্ধ দূর করার জন্য তাতে এক চামচ পরিমান লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে।সম্ভব হলে রোজমেরী এসেন্সিয়াল অয়েলও মেশানো যেতে পারে ।
৫.মাথার ত্বকের সেবাম প্রডাকশন ঠিক রাখে:
মাথার ত্বকে যদি অত্যধিক পরিমান সেবাম উৎপাদন হয় তাহলে মাথার ত্বক অনেক অয়েলি হয়ে যায় এবং ত্বকে খুশকি,ইণ্ফেকশন এগুলো হয়।নিয়মত যষ্টি মধু ব্যবহার মাথার ত্বকের সেবাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৬.এন্টিমাইক্রোবায়াল ধরনের এবং চুল কালো করে:
ব্যাকটেরিয়া এবং ফাংগাসের কারনে মাথার ত্বকে হওয়া নানা সংক্রমনের বিরুদ্ধে যষ্টি মধু ভালো ফলাফল দেয়। কারন এতে রয়েছে এন্টিমাইক্রোবায়াল প্রপারটিজ।তাছারা নিয়মিত ব্যবহারে এটি চুলকে করে তোলে কালো ও ঘন।
স্বাস্থ্যগত নানা উপকারীতায় যষ্টি মধু গুড়া (Licorice Powder health Benefits).
১.ঠান্ডা, সর্দি কাশি দূর করতে:
ময়লা,ধোয়া,ধূলো বালি,এলার্জিক রিএকশন,গলা বসে যাওয়া,স্বরভঙ্গ হওয়া,কফ আটকে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় যষ্টি মধু র বিকল্প নেই।নিয়মিত সেবনে কন্ঠনালিকে ভেতর থেকে পরিস্কার করে তোলে।দীর্ঘদিন ধরে বুকে জমে থাকা কফ তরল আকারে বের করে নিয়ে আসতে চমৎকার কাজ করে এটি।তাছাড়া টনসিলাইটিস,ব্রঙ্কাইটিস,নিউমোনিয়ার সমস্যায়ও এটি দূর্দান্ত কাজ করে।
২.এলার্জি দূর করতে:
সাধারণ ধরনের ঠান্ডা লাগলে যষ্টি মধু সেই সমস্যা সমাধানে ভালো কাজ তো করেই পাশাপাশি অল্পতেই ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার যে প্রবণতা সেটা কমিয়ে আনতেও সাহায্য করে যষ্টি মধু.জন্ডিস রোগে ভালো উপকার করে।
৩.হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে:
যষ্টি মধু তে এন্টিব্যকটেরিয়াল ও এন্টিমাইক্রোবায়াল প্রপারটিজ রয়েছে বিধায় এটি বদহজম(Acidity) হলে ভালো উপকারিতা দেয়।সেজন্য পানি ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে নিয়ে তাতে অল্প পরিমান Licorice Powder মিশিয়ে সেই পানিটুকু পান করতে হবে।স্বাদে সমস্যা হলে কিছুটা মধু এড করে নেয়া যায়।আলসার রোগীদের জন্য এটি একটি ভালো সমাধান।
৪.মুখের দূর্গন্ধ দূর করতে:
নানা কারনেই মুখে বাজে গন্ধ হতে পারে।এটার জন্য যষ্টি মধু একটি চমৎকার প্রাকৃতিক সমাধান।সেজন্য যষ্টি মধু স্টিক বা পাউডার দুটোই ইউজ করা যায়।
৫.চোখের যত্নে:
অনেক সময় এমন হয় যে,চোখে ঝাপসা দেখা যাচ্ছে।সেক্ষেত্রে যষ্টি মধু র সাথে আমলকির গুড়ো নিয়ে গরম পানিতে ৭/৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।পরে পরিস্কার পাতলা কাপড়ে পানিটুকু কয়েক বার ছেঁকে নিয়ে একদম ক্লিয়ার পানি বের করে নিতে হবে।এরপর ওই পানি দিয়ে চোখে ঝাপটা দিতে হবে।কয়েকদিন করলেই চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা কেটে যাবে।
৬.স্মরনশক্তি উন্নত করতে:
বয়সের কারণে, স্ট্রেসের কারনে বা নানা দুশ্চিন্তায় আমাদের অনেকেরই স্মৃতিশক্তি কমে যেতে থাকে।সেক্ষেত্রে দুধের সাথে অল্প পরিমানে যষ্টি মধু মিশিয়ে পান করতে হবে।আস্তে আস্তে স্মৃতিশক্তি অনেকটাই উন্নত হবে।
৭.মৃগী রোগ সারাতে:
মৃগী রোগ(Epilepcy/Hysteria) সারাতে যষ্টি মধু অনেকটা উপকারিতা দেয়।যদিও প্রসেডিংস টা কিছুটা ঝামেলার।আধাকাপ চালকুমড়ার রসের সাথে দুই তিন গ্রাম যষ্টি মধু র গুড়ো মিশিয়ে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন পান করতে হবে।
৮.অন্যান্য:
শরীরে পুস্টিজনিত কারনে দূর্বলতা বোধ করলে প্রতিদিন অল্প পরিমান যষ্টি মধু পান করলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।তাছাড়া লিভারের সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের জন্যও যষ্টি মধু অনেক ভালো কাজ করে।
অর্গানিকাওনের যষ্টি মধু গুড়ো কেন নিবেন?
বাজারে রয়েছে অনেক ব্র্যান্ডের যষ্টি মধু গুড়ো।এর মধ্যে থেকে ভালো ও বিশুদ্ধ প্রডাক্ট নিতে চাইলে আপনার একটা নিশ্চিত একটা সমাধান হলো অর্গানিকাওন স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড।কারন,অর্গানিকাওনের যষ্টি মধু গুড়ো হলো:
১.শতভাগ বিশুদ্ধ।
২.বাছাইকৃত ও ভালোমানের গ্লাইসেররিজা গ্লাবড়া গাছের শেকড় থেকে সম্পূর্ণ নিজস্ব তত্বাবধানে প্রস্তুতিকৃত।
৩.কোন অন্যান্য গাছের শেকড় বা পার্টিকলস মিশ্রিত নেই।
৪.কোন কেমিক্যালস বা প্রিজারভেটিভ ইউজ করা হয়নি।
৫.গুনগত মান ও নিউট্রিয়েন্ট ভ্যালু ঠিক রাখার প্রতি সম্পূর্ণ যত্নশীল।
৬.কোন আলাদা ফ্র্যাগরেন্স ইউজ করা হয়নি।
৭.পোকামাকড়মুক্ত,ভেজালবিহীন ও হালাল।
প্রডাক্টের ধরন: যষ্টি মধু গাছের শেকড় শুকিয়ে গুড়ো করে নেয়া ।
ন্যাচার: প্রাকৃতিক,হালাল,কীটনাশকমুক্ত ও অর্গানিক।
ব্যবহারবিধি:
ত্বকে ব্যবহার করতে চাইলে বিভিন্ন ফেসপ্যাকের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হয়।নিজ নিজ প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন কিছুর সাথে মিশিয়ে যষ্টি মধু ব্যবহার করা যায়।উপরে উল্লিখিত উপকারিতার মধ্যে আমরা ব্যবহার উল্লেখ করেছি।চুলের যত্নে এবং স্বাস্থ্যগত উপকারিতার জন্যও কিভাবে যষ্টি মধু গুড়ো ব্যবহার করতে হবে তা উল্লেখিত হয়েছে।
যষ্টি মধু গুড়ো ব্যবহারের ক্ষেত্রে কি কি সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে?
যেকোন কিছুরই ভালো এবং খারাপ দুটো গুণাবলি রয়েছে। যষ্টি মধু গুড়ার ক্ষেত্রেও তাই।অনেক উপকারিতা বিদ্যমান থাকলেও এটারও কিছু সাইড এফেক্টস রয়েছে।যেমন :অধিক পরিমানে ইউজ করলে হৃদয়ন্ত্রের কাজ বন্ধ হয়ে কার্ডিয়াক এরেস্টের মতো সমস্যা হতে পারে।উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে সেটাও বেড়ে যেতে পারে।তাছারা মাথা হ্যাং হয়ে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে,শরীরে পটাশিয়ামের অভাব,পেটের সমস্যা,অলসতা ইত্যাদি দেখা যেতে পারে।
কাদের জন্য যষ্টি মধু ব্যবহারে সাবধানতার প্রয়োজন রয়েছে?
১.যাদের উচ্চরক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা যষ্টি মধু অতিরিক্ত পরিমানে ব্যবহার করা উচিত হবেনা।
২.লিভার সিরোসিস থাকলে তাদেরও ইউজ করা ঠিক নয়।
৩.প্রেগন্যান্সি অবস্থায় এটি ব্যবহার করতে চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইউজ করতে হবে।
অর্গানিকাওনের শতভাগ বিশুদ্ধ, হালাল,কেমিক্যালমুক্ত,অন্যান্য কোন এডেড উপাদানবিহীন যষ্টি মধু গুড়ো অর্ডার করুন খুব সহজেই ফেইসবুক পেইজে।
অথবা সরাসরি কল করুন: 01748381927 নম্বরে।
যষ্টি মধু নিয়ে আরো কিছু তথ্য:
এই যষ্টি মধু দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশেই ঔষধি হিসেবে ব্যপকভাবে ব্যবহৃত হয়।আমাদের দেশে এটা যষ্টি মধু গাছ হিসেবেই বেশি পরিচিত এবং পাশের দেশ ভারতে এটা মুলেঠি নামে পরিচিত।যষ্টি মধু আয়ুর্বেদীয় শাস্ত্রে অন্যতম বহুল ব্যবহৃত একটি ঔষধি উপাদান।হালকা তেতো ভাবের সাথে মিস্টি স্বাদযুক্ত এই Licorice শেকড় হিসেবেই বেশি পাওয়া যায়।তাছারা পাউডার ও নির্যাস ফর্মেও এখন ব্যপকভাবে প্রচলিত।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হারবাল ঔষধ তৈরীতে Licorice প্রচুর মাত্রায় ব্যবহার তো হয়ই তাছারা বিভিন্ন ধরনের মিস্টি,বেকিং প্রডাক্ট,আইসক্রীম,চকলেট ইত্যাদি তৈরীতেও এটির বহুল ব্যবহার রয়েছে।তাছারা চায়ের সাথে মিশিয়েও Licorice খাওয়া হয়।
Reviews
There are no reviews yet.