বলিরেখা থেকে মুক্তি পেতে চাচ্ছেন? জেনে নিন বলিরেখা দূর করার উপায়।

বলিরেখা দূর করার উপায়

বলিরেখা দূর করার উপায় বলার আগে কিছু কথা বলা দরকার। বলিরেখা কি? কোন দুশ্চিন্তায় বা সমস্যায় আমাদের কপালে ভাঁজ পড়ে যায়। সমস্যা শেষ হয়ে যাবার সাথে সাথে সেই ভাঁজও অনেকটাই মিলিয়ে যায় বৈকি। কিন্তু বয়সের সাথে সাথে আমাদের ত্বকে যে ভাঁজ পড়ে যেটাকে সাধারনত আমরা বলিরেখা বা রিঙ্কলস বলি সেটা কিন্তু সহসা যেতে চায় না, এমনকি যায়ও না। আমরা বয়স বেড়ে যাওয়া,ত্বক কুঞ্চিত হওয়া এসব হয়তো পুরোপুরি ঠেকাতে পারবো না;কিন্তু আমরা চাইলে টোটাল প্রক্রিয়াটিকে কিছুটা ধীর করে নিয়ে আসতে পারি।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের ত্বকের ভেতরে কোলাজেন নামক প্রটিন উৎপাদন কমে যায় এবং ত্বকের দৃঢ়তাও ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। এতে করে আমাদের ত্বক পাতলা ধরনের হয়ে যেতে শুরু করে এবং ত্বক ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে। ত্বকের বিভিন্ন ধরনের রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ক্ষমতা আস্তে আস্তে কমে যেতে থাকে। বিভিন্ন টক্সিন,পানিশূণ্যতা,পরিবেশগত দূষণের কারণে আমাদের ত্বকে বলিরেখা বা ভাঁজ পড়ার সমস্যাাটাকে আরো বাড়িয়ে তোলে বা বলা যায় এই সমস্ত কারনেই হয়। তাই আপনার বয়সের ছাপ দূর করার উপায় জানা থাকলে সমস্যা প্রকট হয়ে উঠবে না।

 

যদিও বলিরেখা বা রিঙ্কলস হওয়া একদমই স্বাভাবিক। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটা হতেই থাকবে। কিন্তু আমরা এই প্রসেসটাকে তুলনামুলক ধীরগতির করে আনতে পারি। তবে চলুন জেনে আসি চমৎকার কিছু উপায় যা আমাদের ত্বকের বলিরেখা বা রিঙ্কলস দূর করতে সাহায্য করবে অনকটাই।

 

বলিরেখা দূর করার উপায়

 

১. সানস্ক্রিন ব্যাবহার করুন

 

সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্নির ক্ষয়ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষার জন্য থেকে সানস্ক্রিন ব্যবহার অনেক জরুরি তা তো আমরা জানি। কিন্তু আমরা অনেকেই হয়তো এটা জানি না যে সানস্ক্রিন ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়ার সমস্যা সমাধানেও দূর্দান্ত কাজ করে এবং ত্বকের রিঙ্কলস এর সমস্যাও ক্রমশ কমিয়ে আনে। এমনকি নিয়মিত ভাবে এসপিএফ(SPF) যুক্ত সানস্ক্রিন ইউজ করতে থাকলে ত্বকের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনাও কমে আসে অনেকটাই। অবশ্যই মিনিমাম এসপিএফ ৩০ এর ওপরে থাকা রেটিংযুক্ত সানস্ক্রিন চুজ করার ট্রাই করতে হবে।

প্রতিদিনকার ময়েশ্চারাইজিং সানস্ক্রিন ত্বকের রিঙ্কলস বা বলিরেখার সমস্যা একেবারে তো দূর করতে পারবে না কিন্তু ত্বকে এসবের ছাপ পড়ে যাওয়ার ব্যাপারটা করে তুলবে আশ্চর্যরকম ধীরগতির। এতদিন যদি সানস্ক্রিন ইউজ না করে থাকেন, তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্কিন কেয়ার রুটিনে সানস্ক্রিন এড করে ফেলতে পারলে ততোই ভালো ত্বকের জন্য।  মুখের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করবে। এরপর কথা বলব নাকের পাশে বলিরেখা দূর করার উপায় সম্পর্কে।

২. শরীরে চিনি গ্রহনের পরিমান কমিয়ে ফেলতে হবে

 

চিনি বা চিনিসমৃদ্ধ খাবার আমাদের শরীরে যতটা না উপকারীতা দেয় তারচেয়ে অনেকটাই ক্ষতি করে। সাধারনত আমরা বেশির ভাগ মানুষই হয়তো এতটুকুই জানতাম যে চিনি জাতীয় খাবার ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় বা ওবিসিটি বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন মেডিক্যাল রিসার্চের কারণে আমরা এখন চিনি বা চিনিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহনের কারনে শরীরে হওয়া আরো নানাবিধ ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারছি। হয়তো ভবিষ্যতে আমরা আরো বিশদ জানতে পারবো। চিনি শরীরে প্রবেশ করে গ্লাইকেশন নামক একটি প্রক্রিয়া শুরু করে এবং মাত্রাতিরিক্ত পর্যায় যেয়ে শরীরে AGEs এর প্রকোপ ঘটায়। এটার মানে হলো শরীরে থাকা প্রটিন আর ফ্যাট এর সাথে চিনি যখন রক্তের মধ্যে প্রবেশ করে তখন এই সমস্যাটা তৈরী হয়। এমনকি উচ্চতাপে তৈরীকৃত খাদ্যবস্তু প্রস্তুতিকরণের পদ্ধতি থেকেও এই ব্যাপারটি ঘটে থাকে।

 

গ্রিলিং,ফ্রাইং,টোস্টিং জাতীয় প্রসেসের মাধ্যমে তৈরী খাদ্য অতিরিক্ত পরিমানে গ্রহনেও এই সমস্যাটা হয়। AGEs ত্বকের কোলাজেন কমিয়ে ফেলে এবং কোলাজেন তৈরীর প্রক্রিয়াও ধীর করে ফেলে এবং এতে করে ত্বক বয়স্ক দেখায়,ত্বকে বলিরেখা প্রকট হতে শুরু করে। সুতরাং খাবার তৈরীর এই পদ্ধতিগুলোর কম প্রয়োগ করতে হবে। যতটা কম পরিমানে সম্ভব চিনি এবং চিনিজাতীয় খাবার গ্রহন করতে হবে যেন ত্বকে বলিরেখার সমস্যা কম হয়। মিস্টি ,মোহময়ী বলিরেখাবিহীন ত্বক,সুস্থ সবল দেহ আর ইয়ংগার লুকিং ধরে রাখতে চাইলে মিস্টি ও মিস্টিজাতীয় খাবারগুলো বাদ দিতেই হবে।

 

৩.ধুমপানকে না বলুন

 

স্বাভাবিকভাবেই এটা আমরা জানি যে ধুমপান আমাদের শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকারক। নানাবিধ রোগ হয় এটাতো আমরা জানি অনেকেই। কিন্তু ধুমপান যে ত্বকে প্রিম্যাচিউর এজিং তৈরী করে এটা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। সম্প্রতি এটা নিয়ে চমৎকার একটা গবেষণা হয়েছে । সেখানে দুজন যমজ বাচ্চাদের  মধ্যে একজনের ধুমপানের স্বভাব ছিলো এবং আরেকজনের ছিল না। এরকম ৭৯ জোড়া যমজ মানুষের ওপর রিসার্চের পর আশ্চর্যজনক একটা রেজাল্ট পাওয়া গিয়েছে।যারা ধুমপান করেননি তাদের তুলনায় যারা ধুমপান করেছেন এদের চেহারায় তারুন্যতা এবং বলিরেখার পরিমান অনেক কম ছিল। এমনকি এটাও রিসার্চে এসেছে যে নিজে ধুমপান না করলেও অধিকাংশ সময় যদি এমন মানুষ দ্বারা পরিবেস্টিত থাকতে হয় যারা ধুমপান করেন,সেক্ষেত্রেও ক্যান্সারসহ নানাবিধ রোগ,হার্ট ডিসিজ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়।

আর ত্বকের নানাধরনের সমস্যা,ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়া ও রিঙ্কলস এর সমস্যা তো যেন রয়েছেই। তাই আমরা চেস্টা করবো নিজেরাও ধুমপান না করতে এবং যারা ধুমপান করে এদের থেকেও দূরত্ব মেইনটেইন করার জন্য।

 

৪.ত্বকে নারিকেল তেল এর ব্যবহার

 

নারিকেল তেল হল প্রাকৃতিক ইমোলিয়েন্ট। মানে হলো এটা ত্বককে অনেক ডিপলি কোমল করে। আমাদের ত্বকের এপিডার্মিস লেয়ারে যে গ্যাপ বা শূন্যতা হয়, নারিকেল তেল সেটা পূরণ করতে খুব ভালো কাজ করে। চমৎকার পুস্টিগুন সমৃদ্ধ এই অয়েলটি শুধুমাত্র ত্বক নরম,কোমল ও মসৃণই করেনা এটা ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং এতে করে ত্বক থাকে সতেজ ও তারুণ্যদীপ্ত। আরো টুইস্ট হিসেবে এটাও আমরা জেনে নিতে পারি যে নারিকেল তেল ড্রাই স্কিনের জন্য সুপার্ব একটা অয়েল।

তাই স্বাস্থোজ্জল, লাবন্যময় বলিরেখামুক্ত ত্বক পেতে চাইলে আজই রুপচর্চায় যোগ করতে হবে নারিকেল তেলের নিয়মিত ব্যাবহার।

 

৫.শরীরে নিতে হবে পর্যাপ্ত বিটা ক্যারোটিন

 

আমরা যখন এন্টিএজিং ক্রীম কিনি তখন সেটা ভালো করে পড়লে দেখবো যে এটার প্রধান একটি উপাদানই হলো বিটা ক্যারোটিন। এটি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্নির কারণে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে। কিন্তু বিটা ক্যারোটিন যে বাইরে থেকেই নিতে হবে এমনটা জরুরি নয়। প্রতিদিনকার খাবারের সাথে ৩০ মিলিগ্রাম পরিমান বিটা ক্যারোটিন গ্রহন আমাদের শরীরে বিটা ক্যারোটিনের চাহিদা পূরণ করবে। তাই ত্বককে রিঙ্কলস এর আক্রমন থেকে বাচাঁতে এই বিটা ক্যারোটিন গ্রহনের প্রতি রাখতে হবে বিশেষ খেয়াল।

 

৬.ঘুমানোর পজিশন পরিবর্তন

 

আমরা ঘুমাতে গেলে যে যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি সেভাবেই হয়তো দীর্ঘসময় ধরে ঘুমাই। কিন্তু এতে করে আমাদের ত্বকের নিদ্রিস্ট কিছু অংশের সাথে বালিশের একটা ঘর্ষণ হয় প্রতিনিয়ত। এতে করে সেখানে কমপ্রেসন হয় এবং সেই জায়গাগুলোতে ত্বকের অন্যান্য অংশের তুলনায় বলিরেখার প্রকোপ দেখা দেয় দ্রুত।

তাই স্লিপ পজিশন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।চেস্টা করা উচিত পিঠের ওপর ভর রেখে ঘুমানোর জন্য।

 

৭.এন্টিঅক্সিডেন্টস বাড়িয়ে তুলুন

 

আমাদের শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলোর তুলনায় অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এর ধকল অনেকটাই বেশি পরিমানে দৃশ্যমান হয় আমাদের ত্বকের ওপরে। শুধুমাত্র আমাদের প্রতিদিনকার ডেইলি রুটিনের কারণেও আমাদের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।এন্টিঅক্সিডেন্টস আমাদের কোষের ক্ষয় রোধ করে।এ কটা সানস্ক্রিন বা রিঙ্কল রিমুভিং ক্রীম ছাড়াও আমরা খাদ্যগ্রহনের মাধ্যমেও ত্বকে এন্টিঅক্সিডেন্টের যোগান দিতে পারি। এতে করে ত্বক ভেতর থেকে বয়সের ছাপ দূর করতে নিজেকে গড়ে তোলে।

এন্টিঅক্সিডেন্টস সমৃদ্ধ খাবার যেমন ব্রকলি,গাজর,পালং শাক,মিস্টি আলু,মিস্টিকুমড়া, আঙ্গুর, পাতাকপি ইত্যাদি রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়। এগুলো ত্বক ইয়ংগার রাখতে বিশেষ করে বলিরেখার সমস্যা কমিয়ে আনতে অনেক ভালো কাজ করে।

 

৮.আল্ট্রাভায়োলেট রশ্নি থেকে সুরক্ষিত থাকার চেস্টা করতে হবে

 

কপালের বলিরেখা দূর করার উপায় জানতে চেয়েছেন অনেকে। আমাদের মুখ,বাহু,হাত এবং ঘাড়ে হওয়া বলিরেখার অন্যতম একটা অনুঘটক হলো সূর্যের অতিবেগুনি রশ্নি। এখন যেহেতু এই ব্যাপারটা সম্পূর্ণ এভয়েড তো করা যাবেনা,তাই চেস্টা করতে হবে পর্যাপ্ত প্রটেকশন নেবার যাতে করে এই ক্ষতির থেকে নিজেকে যতটা সম্ভব সুরক্ষিত রাখা যায় এবং বলিরেখার পরিমান কমানো যায়। বাইরে যাবার সময় এমন পোষাক চুজ করতে হবে যেন ত্বক অনেকটা আবৃত থাকে। ক্যাপ,স্কার্ফ,ছাতা এগুলোর ব্যাবহার করতে হবে। যদিও সব সময়ই এগুলোর ব্যাবহার করা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনা হয়তো কিন্তু নিজেকে দীর্ঘদিন তারুন্যময় ও বলিরেখা থেকে দূরে রাখতে চাইলে এটুকু কস্ট তো করতেই হবে।

 

৯.নিয়মিত মুখ ধুতে হবে

 

অনেক সময়ই আলস্যের কারনে হোক বা সময় সল্পতার কারনে হোক আমরা মেকাপ না তুলেই হয়তো ঘুমিয়ে পড়ছি বা দীর্ঘসময় ঐ মেকাপ নিয়েই থাকছি। মেকাপ প্রডাক্টসগুলোর ক্ষতিকর কেমিক্যাল এতে করে আমাদের ত্বকে এবজর্ব হয় এবং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। তাই যত দ্রুত সম্ভব মেকাপ তুলে ফেলার চেস্টা করতে হবে। আর রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ভালোভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিস্কার করে নেয়ার অভ্যাস করতে হবে।

এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলো এক ধরনের ইনভেস্টমেন্ট। দীর্ঘদিন নিজেকে ইয়ংগার দেখতে চাইলে আর বলিরেখার প্রকোপ কমানো অবস্থায় নিজেকে দেখতে চাইলে নিয়মিত ভাবে মুখ পরিস্কারের কোন বিকল্প নেই। মুখের বলিরেখা দূর করার উপায় গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।

 

১০.পুদিনা পাতার চা পানের অভ্যাস

 

ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে কত ধরনের হার্বাল পানীয়ই তো আমরা পান করে থাকি। কিন্তু এগুলোর মধ্যেও একেকটার গুনাবলি একেক রকম। রিসেন্টলি একটা গবেষণায় পুদিনা পাতার চায়ের চমৎকার গুনাবলির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কিছু বিজ্ঞানীরা বার্লি টি এবং পুদিনা পাতার চায়ের ওপর একটি গবেষণায় এটা পেয়েছেন যে,পুদিনা পাতার চা ত্বকের বলিরেখা কমিয়ে তুলতে অনেক ভালো কাজ করেছে।

 

এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে মেন্থল,মেন্থন ও লিমোনিন এবং এগুলো ত্বক সুন্দর, সতেজ ও লাবন্যময় রাখে এবং বলিরেখা কমাতেও বিশেষ পারদর্শী।তাই ফুড হ্যাবিটে অবশ্যই এই চমৎকার পানীয়টি যুক্ত করা উচিত।

যদিও আমরা সবাইই চাই তরুন থাকতে কিন্তু আমরা কোনভাবেই আমাদের বয়স বাড়ার প্রসেস ঠেকাতে পারব না। আমরা যেটা পারবো তা হলো সঠিক কিছু জীবনাচরণ,সুষম খাদ্য গ্রহন এবং আরো কিছু নিয়ম কানুন মানার মাধ্যমে ত্বককে তুলনামুলক লাবন্যময় ও ইয়ংগার রাখতে। যত যাই হোক রিঙ্কলস আমাদের সৌন্দর্য অনেকটাই হ্রাস করে। তাই রিঙ্কলস দূর করতে উপরোক্ত ব্যাপারগুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। সমস্যা যদি অনেক বেশি মনে হয় তাহলে ডার্মাটোলজিস্ট এর পরামর্শ গ্রহন করতে হবে। চোখের নিচের কালোদাগ দূর করার উপায় জানতে ক্লিক করুন এখানে

 

আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থতার সাথে।