গরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে দিনে ও রাতের কিছু স্পেশাল কেয়ার যা আপনাকে করতেই হবে।

ত্বক আমাদের শরীরের অন্যতম জরুরি অঙ্গ। সৌন্দর্যের অনেকটা অংশ জুড়েই রয়েছেআমাদের ত্বক।একজন মানুষের ত্বক তার পার্সোনালিটি ধারণ করে অনেকটাই এবং সবচেয়ে প্রথমে আমাদের ত্বকটাই কিন্তু চোখে পড়ে।

আমাদের প্রত্যেকেরই ত্বকের ধরণ আলাদা। ত্বকের ধরণ বা স্কিন টাইপ বলতে সাধারনত এটা বোঝায় যে আমাদের ত্বকটি আসলে কিরকম।সব ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রেই কমন একটি কথা প্রযোজ্য সেটা হলো ত্বকের যত্ন নিতে হবে।

আমাদের ত্বক সাধারনত ৫ ধরণের হয়ে থাকে।এগুলো হলো:

(১)নরমাল ত্বক ।
(২)শুস্ক ত্বক ।
(৩)তৈলাক্ত ত্বক ।
(৪)কম্বিনেশন ত্বক (শুস্ক  এবং  তৈলাক্ত ত্বকের সংমিশ্রণ) এবং
(৫)সেন্সিটিভ ত্বক।

যেকোন ত্বকের জন্যই যত্নের প্রয়োজন।শুষ্ক বা কম্বিনেশন ধরণের ত্বক হলে তার যত্ন নেয়াটা যতটুকু সহজ;তার চেয়ে অনেকটাই পরিশ্রমের হলো তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেয়া।

তৈলাক্ত ত্বক মানেই যেন নানারকম সমস্যার সমীকরণ।আমাদের মধ্যে যাদের ত্বকের ধরণ তৈলাক্ত তারা মনে হয় ভুলেই গিয়েছি যে লাস্ট কখন আমরা চার পাঁচ ঘন্টা ত্বক না ধুয়ে থাকতে পেরেছি,ত্বকে টিস্যু দিয়ে মুছতে হয়নি বা পাউডার ইউজ করতে হয়নি।কোন প্রগ্রামে একটা গর্জিয়াস সাজ দিলেও কয়েকবার আয়নার সামনে দৌড়াতে হয় সাজ ঠিক রাখার জন্য।

তো,স্বাভাবিকভাবেই তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেয়াটাও অনেকটাই ঝামেলাযুক্ত।কিন্তু যত্ন তো নিতে হবেই বরঙ্চ অন্য ধরনের ত্বকের চেয়ে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন আরো একটু বেশি নিতে হবে।

এখন, তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিতে যেয়ে আমরা নানা সমস্যায় পড়ি যে কখন কিভাবে কি ইউজ করবো।দিনে যত্ন নেবো নাকি রাতে?বা ঠিক কি কি উপাদান সমৃদ্ধ প্রডাক্ট ইউজ করবো?এ ধরনের নানা প্রশ্ন আমাদের মনে আসে।

সুপ্রিয় পাঠক, আজ আমরা জানবো যে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে দিনে এবং রাতের জন্য কিভাবে আমরা একটা পারফেক্ট স্কিনকেয়ার রুটিন তৈরী করতে পারি এবং কি ধরণের প্রডাক্ট ইউজ করবো।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে ডে স্কীন কেয়ার রুটিন:

আমরা কেউ ই পছন্দ করি না যে আমাদের সকালটি শুরু হোক আয়নার সামনে দেখা তৈলাক্ত মুখটি দেখে।সুন্দর ফুটফুটি একটি মুখশ্রীই তো কল্পনায় আঁকি আমরা।কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা আমাদের সেই পটে আঁকা ছবিটি নস্ট করে দেয়।তাই আমাদের দিনের শুরুতেই এই ব্যাপারে খেয়াল করতে হবে।
আমরা এখন স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো সকাল বেলা তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন কিভাবে শুরু হবে।

স্টেপ ১ : ক্লিনজার ব্যবহার করা:

যেহেতু সারা রাত ধরে অনেক পরিমাণ সেবাম আমাদের অয়েল গ্ল্যান্ডগুলো থেকে নিঃসরিত হতে থাকে তাই স্বাভাবিকভাবেই সকালে উঠে ত্বকে অয়েলের পরিমাণ থাকে অনেক বেশি।তাই সকালে উঠেই ত্বক ক্লিন করাটা অত্যন্ত জরুরি।সর্বপ্রথম আমাদেরকে ফোকাস করতে হবে ক্লিনজার এর প্রতি।

আর ক্লিনজারটা এমন উপাদানের তৈরী হতে  হবে যা ত্বকের তৈলাক্ততা কমিয়ে আনবে খুব ভালোভাবে।সেজন্য নিম,লেবু, কাঠকয়লার গুড়ো মিশ্রিত আছে এমন ক্লিনজার ভালো কাজ করবে।

অবশ্যই চেস্টা করতে হবে সিন্থেটিক ফ্র্যাগরেন্স ফ্রি,পি এইচ ব্যালেন্স নিয়ন্ত্রিত একটা সফ্ট ক্লিনজার চুজ করার।

 

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে আমি পারসোনালি একটা ভালো ক্লিনজার সাজেস্ট করতে পারি যেটা কেমিক্যাল ফ্রি,ন্যাচারাল, হালাল এবং ত্বকের জন্য অনেক সফ্ট ন্যাচারের। কারণ,ত্বকের যত্ন নিয়ে গিয়ে ত্বককে অতিরিক্ত ড্রাই ও রুক্ষ তো করে ফেলা যাবেনা।তাই অয়েলি ত্বকের যত্নের জন্য ক্লিনজার হিসেবে অর্গানিকাওন স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড এর একটিভেটেড চারকোল সোপটি একটি চমৎকার প্রডাক্ট।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে আমি পারসোনালি একটা ভালো ক্লিনজার সাজেস্ট করতে পারি যেটা কেমিক্যাল ফ্রি,ন্যাচারাল, হালাল এবং ত্বকের জন্য অনেক সফ্ট ন্যাচারের। কারণ,ত্বকের যত্ন নিয়ে গিয়ে ত্বককে অতিরিক্ত ড্রাই ও রুক্ষ তো করে ফেলা যাবেনা।তাই অয়েলি ত্বকের যত্নের জন্য ক্লিনজার হিসেবে অর্গানিকাওন স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড এর একটিভেটেড চারকোল সোপটি একটি চমৎকার প্রডাক্ট।

২.ত্বকে এন্টিঅক্সিডেন্ট যোগান দেয়া:

তৈলাক্ত ত্বকে অনেক বেশি পরিমান সেবাম উৎপাদিত হয়।এতে করে ত্বকে লিপিড পারক্সিডেশন নামক একটি ব্যাপার ঘটে।এটা হলো আমাদের ত্বকের লিপিডের অক্সিডেটিভ অবক্ষয়টাকে আরো বাড়িয়ে তোলে।এতে করে আমাদের ত্বকের যে কোষ থাকে সেই কোষের ঝিল্লির লিপিড থেকে ইলেকট্রন অনেক কমে যায় এবং আমাদের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যায়।সেজন্য ত্বককে যোগাতে হবে এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের লিপিড ক্ষয় হয়ে যাওয়া রোধ করবে।

 

তাই তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিতে যেয়ে ত্বকে এন্টিঅক্সিডেন্ট এর ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা আমারা অনেকেই মিস করে যাই বা সময়ের কারণে যত্ন নিতে অলসতা করি। তাই তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে ত্বকে এন্টিঅক্সিডেন্টের সম্পূর্ণতার জন্য এন্টিঅক্সিডেন্ট সিরাম ব্যবহার করা জরুরি।

এজন্য আপনারা চাইলে অর্গানিকাওনের ভিটামিন সি সিরামটি চুজ করতে পারেন।এটাতে কোন প্রকার কোন সিন্থেটিক ফ্র্যাগরেন্স,কেমিক্যাল,প্যারাবেন বা এই জাতীয় কিছুর মিশ্রণ নেই। অর্গানিকাওন এটাতে ইউজ করেছে সবচেয়ে সেইফ ফরম্যাট।ইউএস  হার্বাল একাডেমি ফর্মূলায় তৈরী বিধায় এর ব্যবহারও সম্পূর্ণ নিরাপদ।ক্লিনজার ইউজের পরে খুবই সামান্য পরিমানে, জাস্ট এক/দুই ফোটা ভিটামিন সি সিরাম সম্পূর্ণ ফেসে ভালোভাবে মেখে নিতে হবে।

 

তবে,এই সিরাম যে প্রতিদিনই ব্যবহার করতে হবে তাও নয়।এই প্রসিডিউরটি একদিন অন্তর ফলো করলেই হবে।

স্টেপ ৩: ময়েশ্চারাইজার ইউজ করতে হবে।

তৈলাক্ত ত্বক হলে ত্বকতো এমনিতেই অনেকটা ময়েশ্চারাইজড হয়েই আছে। সুপ্রিয় পাঠক,এরকমটা আমরা অনেকেই ভেবে থাকি।কিন্তু আসলে ধারনাটা পুরোটাই ভুল।তৈলাক্ত ত্বকে যে অয়েলিভাবটা হয় সেটাতো উপকারী কিছু নয়।

অতিরিক্ত সেবাম প্রডাকশন হয়ে সেটা ত্বকের বাইরে চলে আসে।ময়লা আটকায়,ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে এবং ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ করে ফেলে।এই ব্যাপারটাকে ময়েশ্চারাইজড বলা যায় কি?নিশ্চয়ই নয়।তাই তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজ ব্যাপারটার প্রতি আলাদা করে নজর রাখতে হয়।

তবে জরুরি হলো যে ময়েশ্চারাইজারটি  চুজ করতে হবে ন্যাচারাল
উপাদানে সমৃদ্ধ এমন কোন ময়েশ্চারাইজার যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করে তোলার পাশাপাশি সেটাকে সুরক্ষাও দেবে।


এজন্য আমি আপনাদেরকে সাজেস্ট করতে পারি চমৎকার একটি অর্গানিক প্রডাক্ট যা সম্পূর্ণ হালাল,নিরাপদ এবং ত্বককে ডিপলি ময়েশ্চারাইজড করার পাশাপাশি যোগাবে পুস্টি।সেটা হলো অর্গানিকাওনের স্যাফ্রন গোট মিল্ক সোপ

প্রথমে মনে হতে পারে যে এটি অয়েলি ত্বকের জন্য ভালো হবে কিনা।কিন্তু আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা যে ছাগলের দুধের পিএইচ লেভেল এবং মানুষের ত্বকের পিএইচ লেভেল প্রায় কাছাকাছি।তাই ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করে খুব ভালোভাবে।

আর স্যাফ্রন তো নানা গুনের সমাহার।স্যাফ্রনের সাথে গোট মিল্ক ছাড়াও আরো নানারকম উপকারী উপাদানের সংমিশ্রণ ঘটেছে এই সোপটিতে।দিনের যেকোন সময় অন্তত একবার এই ময়েশ্চারাইজড প্রসেসটি করতে হবে।এছারাও ত্বক অতিরিক্ত ঘেমে গেলে,বাইরে থেকে এসে,মেকাপ ইউজের পরে ত্বক ক্লিনিং এর পরে এই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই দরকারী।

৪.ত্বক হাইড্রেটেড রাখা:

তৈলাক্ত ত্বকে হাইড্রেশন খুবই জরুরি।অতিরিক্ত তেল জমে জমে ত্বকে বাতাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়।এতে করে ব্রণসহ অন্যান্য সমস্যা তৈরী হয় খুব তাড়াতাড়ি।
এজন্য টোনার ইউজ মাস্ট।এজন্য এমন উপাদান সমৃদ্ধ টোনার ইউজ করতে হবে যা ত্বককে হাইড্রেটেডও করে,আবার ত্বকের তৈলাক্ততাও দূর করে।

এজন্য অর্গানিকাওনের উইচহেজেল টোনার  আর লেমনগ্রাস ও পেপারমিন্ট টোনার দুটো খুব ভালো কাজ করবে।উইচহেজেল ও পেপারমিন্ট দুটো উপাদানই ত্বকের তৈলাক্তভাব অনেকটাই দূর করে আনে,ব্রণের প্রকোপ কমায় এবং ত্বকের ভেতরকার নানাবিধ অশুদ্ধতা দূর করতে অনেক ভালো কাজ করে। আর লেমনগ্রাস ত্বকে যোগায় পুস্টি ।আপনারা চাইলে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে এই টোনারদুটো ব্যবহার করতে পারেন।

৫.ডিটক্সিফায়িং করা:

তৈলাক্ত ত্বকের অন্যতম একটি প্রধান সমস্যা হলো ত্বকে ময়লা,গাদ,শূল জমে জমে ত্বক টক্সিক হয়ে যাওয়া বা অশুদ্ধ হয়ে যাওয়া।এতে করে ব্রণের সমস্যাও অনেকটাই বেড়ে যায় এবং ত্বকে অস্বস্তি ও ব্যাথা বেদনা হয়।এজন্য ত্বককে ভেতর থেকে বিশুদ্ধ করাটা জরুরি।

সেজন্য ব্যবহার করা যেতে পারে ফেসিয়াল মাস্ক।


সেজন্য ব্যবহার করা যেতে পারে ফেসিয়াল মাস্ক।
এটার জন্য আপনারা অর্গানিকাওনের সুপার ডিটক্স ক্লে পাউডার মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন।ফ্রেঞ্চ গ্রীণ ক্লে,কাওলিন ক্লে,মুক্তোর গুড়ো,শঙ্খের গুড়োর সাথে কাঠকয়লার গুড়ো এবং আরো নানাবিধ উপকারী উপাদানের সংমিশ্রণে এই ক্লে পাউডার মাস্কটি তৈলাক্ত ত্বকে অনেক ভালো কাজ করে ।

ত্বকের একদম ভেতরের লেয়ার থেকে টক্সিক জিনিস বা অশুদ্ধতা দূর করে আনতে সাহায্য করে।এটা প্রতিদিন ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহারেই ত্বকের অনেকটাই উন্নতি হবে।

৬.কুইক মিস্ট:

তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিতে যেয়ে আমরা প্রায়ই যে সমস্যাটা ফেস করি তা হলো যে,হয়তো আমরা বাইরে কোথাও গেলাম এবং দ্যাখা গেল খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ত্বক তৈলাক্ত হয়ে গেল।আর তার সাথে যদি ত্বকে ব্রণ থাকে তাহলে তো দূর্দশা বেড়ে যায় আরো কয়েকগুণ।সেজন্য ফেস মিস্ট এর ব্যবহার হতে পারে কার্যকরী এবং কুইক একটা স্টেপ।

কিন্তু মিস্ট টা হতে হবে এমন যে অয়েলিভাবটা কমিয়ে আনবে কুইকলি এবং ত্বককে ন্যাচারালি সুরক্ষা দেবে।
এজন্য আপনারা চাইলে অর্গানিকাওনের গ্রীণ টি ফেস মিস্ট টি নিতে পারেন।গ্রীণ টি,অ্যাপল সিডার ভিনেগার এবং আদার রসের চমৎকার এক কম্বো এই গ্রীণ টি ফেস মিস্ট।

এটা সরাসরি স্প্রে করা যায় এবং তৈলাক্ততা ইনস্ট্যান্টলি দূর হয়।সহজে বহনযোগ্য এবং আরো নানামুখী উপকারিতার সাথে এই গ্রীন টি ফেস মিস্ট তৈলাক্ত ত্বকের যত্নের চমৎকার সঙ্গী।

এভাবে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেয়ার জন্য দিনের একটা স্কিনকেয়ার রুটিন আমরা করে নিতে পারি।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে রাতের স্কীন কেয়ার রুটিন:

রাতের বেলা অনেকটা সময় পাওয়া যায় তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেবার জন্য।পুরো রাতে তৈলাক্ত ত্বক আরো তৈলাক্ত হয়ে যায়।তাই আমাদেরকে এমন একটা প্রডাক্ট ইউজ করতে হবে যা ত্বকের সেবাম প্রডাকশন অনেকটাই কমিয়ে আনবে,ত্বকে প্রয়োজনীয় পুস্টি যোগাবে,দাগ ছোপ দূর করবে এবং ত্বকের তারুণ্যতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।প্রডাক্টটা এমন হতে হবে যে সম্পূর্ণ রাত জুড়েই ত্বকে তার কাজ করতে থাকবে।

এজন্য আমি চমৎকার একটি নাইট ফেসিয়াল সিরাম সাজেস্ট করতে পারি যা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আদর্শ।সেটা হলো অর্গানিকাওনের কুমকুমাদি ফেসিয়াল সিরাম।

এখন এই প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক যে,জাস্ট একটা সিরাম দিয়ে কি পুরো রাত জুড়ে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেয়া সম্ভব?আপনাদের মত আমারো এই কোয়েশ্চেন টা ছিলো।কিন্তু এটা নিয়ে ভালোভাবে স্টাডি করার পরে আমি জানতে পারলাম যে,কুমকুমাদি সিরাম টা হলো প্রায় ৬০ টিরও বেশি নানাবিধ পুস্টিকর ফল,মুল,ফ্লাওয়ার এক্সট্র্যাক্টস এবং উপকারী হার্বস থেকে প্রাপ্ত নির্যাসের এক দূর্দান্ত সংমিশ্রণ।

সম্পূর্ণ ন্যাচারাল,হালাল এবং চমৎকার সব ইনগ্রিডিএন্টস এর সুপার কেয়ার যা সারারাত ধরে ত্বকের তৈলাক্ততা শোষণ করবে অনেকটাই,সেবাম প্রডাকশন কমিয়ে আনবে,ত্বকে যোগাবে পুস্টি এবং ত্বককে ভেতর থেকে করে তুলবে লাবণ্যময়।

আপনারা চাইলে এটা ব্যবহার করে দেখতে পারেন।সম্পূর্ণ রাত ধরে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে এটা একটা চমৎকার নাইট কেয়ার।

 

তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিতে যেয়ে আমরা হয়তো বাজারে থাকা নানাবিধ ক্ষতিকর প্রডাক্টস চুজ করে ফেলি এবং যথেচ্ছ ব্যবহার করি।ত্বকের তৈলাক্ততা কমিয়ে আনতে আমরা এতোটাই টেন্সড থাকি যে,প্রডাক্টসগুলো যে আসলে আমাদের ত্বকের অনেক ক্ষতি করে ফেলছে,ত্বকের সুরক্ষা লেয়ার ভেঙ্গে ফেলছে এবং ত্বককে করে তুলছে আর্লিএজড ; এই ব্যাপারগুলো আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না।বা যতদিনে বুঝতে পারি ততদিনে হয়তো অনেকটাই দেরি হয়ে যায়।
তাই তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিতে যেয়ে আমরা চেস্টা করবো যেন অস্থির না হয়ে যাই ।তাছাড়া কেমিক্যালমুক্ত,সিন্থেটিক ফ্র্যাগরেন্সমুক্ত ,হালাল এবং ইকোফ্রেন্ডলি প্রডাক্টস ইউজ করার চেস্টা থাকবে আমাদের।দিনশেষে ত্বক তো নিজের।আর আমরা তো এটা জানি যে,ন্যাচারাল ও অর্গানিক ইনগ্রিডিএন্টস যুক্ত প্রডাক্টস কাজ করবে তুলনামুলক ধীরে।ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত করে ত্বকের যত্ন নিতে নিশ্চয়ই আমরা কেউই চাই না।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্বের জন্য চাই সঠিক প্রডাক্টস চুজিং এবং টাইম টু টাইমের একটা রুটিন স্কিনকেয়ার।এভাবে আমরা তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারবো।

 

আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থতার সাথে।