চা পান করতে পছন্দ করেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহায়েতই কম নয়।আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে চা।সময়ের পথপরিক্রমায় চায়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম ফ্লেভার যোগ হয়েছে,এসেছে নতুনত্ব এবং স্বাদেও এসেছে বৈচিত্রতা।চায়ের বিভিন্ন উপকারিতা তো আমরা জানি।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপকরণাদির সংযোজন চায়ের স্বাদ ও গন্ধে তৈরী করেছে ভিন্নমাত্রা।সেরকমই একটি নতুন ট্রেন্ড হলো ল্যাভেন্ডার টি।

চোখ ধাঁধানো এই ফুলটি রসনাবিলাসেও নিজস্বতা তৈরী করতে পেরেছে। চমৎকার সুঘ্রাণময় এই ল্যাভেন্ডার টি এর রয়েছে অনেকগুলো বেনিফিটস।
তো,চলুন তাহলে আজ আমরা জেনে নেই যে,এই ল্যাভেন্ডার টি কি?কিভাবে তৈরী হয়?এর বেনিফিটস গুলো কি কি?এটা কিভাবে কাজ করে?
এই সমস্ত বিভিন্ন তথ্যাদি আজ আমরা জানবো।
প্রথমেই জানবো যে,ল্যাভেন্ডার টি মুলত: কি?
পার্পল এবং ভায়োলেট কালারের চমৎকার সুগন্ধযুক্ত ল্যাভেন্ডার পৃথিবীর অন্যতম একটি ফেভারেট হার্বসগুলোর মধে একটি।সাউদার্ন ইউরোপ এবং নর্দার্ন আফ্রিকাসহ মেডিটেরিয়ান রিজিয়ন গুলোতে এটি প্রচুর জন্মায়।এটার প্রায় 80 ধরনের প্রজাতি রয়েছে। এতগুলোর মধ্যে থেকে “ল্যাভেনডুলা এনগাসটিফোলিয়া” নামক প্রজাতির ফুল বা কুড়ি শুকিয়ে টি হিসেবে ব্যাবহৃত হয়।

এটার স্বতন্ত্র এবং হাই রেটেড এরোমা রয়েছে।ঘ্রাণটা কিছুটা উডি বা স্মোকি ধরণের যা চা পানে বৈচিত্রতা আনে।
এই হার্বাল চা সবচেয়ে প্রথমে ফ্রান্সে প্রচলন শুরু হলেও বর্তমানে বিভিন্ন দেশেই এটা রিল্যাক্সিং টি হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়।অনেকে এটাকে টিসেন নামেও অভিহিত করে থাকেন।
ল্যাভেন্ডার টি সাধারনত অন্য চায়ের ব্লেন্ড এর সাথে মিক্স করে পান করা হয়। সাধারনত রিল্যাক্সিং বা বেড টাইম টি এর সময়ে ব্যাবহৃত চায়ের সাথে এটার ব্যাবহার বেশি লক্ষ্য করা যায়।
কিন্তু এর বাইরেও শুধুমাত্র ল্যাভেন্ডার টি ও এককভাবে পান করা যায়।
ল্যাভেন্ডার টি কেন পান করা উচিত?
আমাদের প্রাকৃতিক প্রাচুর্যতা গুলো আসলে মেডিসিনের মতোই আমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরুপ।
ল্যাভেন্ডার টি এর ব্যাপারটাও অনেকটা সেরকম ই।এই চমৎকার ফ্লোরাল টোনের হার্বস জাতীয় চা একটি কুইক রিফ্রেশিং মুড বুস্টার।
এছারাও, ভালো ঘুম আনতে সহায়তা করে।স্কিন হিলিং,ত্বকের প্রদাহ ও পেইন সারানো এবং ইমিউনো সিস্টেম কে ভালো রাখতেও কার্যকরী।
মেডিসিনাল ন্যাচার এর,সুস্বাদু এবং এনচ্যান্টিং স্মেলের দারূন এই ল্যাভেন্ডার টি এর বিশদ কিছু গুনাবলি জেনে নেই চলুন।
ল্যাভেন্ডার টি এর উপকারীতা:
১.সুপার্ব মুড বুস্টার:
বিভিন্ন গবেষণায় এটা পাওয়া গিয়েছে যে,ল্যাভেন্ডারে থাকা উপাদানগুলো এরোমাথেরাপি এজেন্ট হিসাবে ভালো কাজ করে।এংজাইটি,ডিপ্রেশন এবং স্ট্রেস রিলিফিং এ ল্যাভেন্ডার টি দারুণ কার্যকর।
মুড ইমপ্রুভ করতে এবং মাইন্ড শান্ত করে তোলে ল্যাভেন্ডার।
তাইওয়ানে নিউলি মাদার এর ওপর করা একটা গবেষণায় এটা পাওয়া গিয়েছে যে,আফটার প্রেগন্যান্সী যারা টানা দুই সপ্তাহ প্রতিদিন এক কাপ করে ল্যাভেন্ডার টি পান করেছেন,তাদের মুড সুইং এবং ডিপ্রেশন তুলনামুলক অনেক কম ছিলো যারা পান করেননি তাদের তুলনায়।
এই গবেষণাটা করা হয়েছিলো ৮০ জন মহিলার ওপরে।এটা নার্ভ কে শান্ত করে তোলে।ব্রেণের সেই জায়গাটাতে কাজ করে যেখানে চিন্তার জটিলতা তৈরী হয়।

২.ভালো ঘুমের নিশ্চয়তা দেয়:
একটা রিসার্চে এটা এসেছে যে,রাতে ঘুমানোর আগে এক কাপ ল্যাভেন্ডার টি ভালো ঘুম হওয়ানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।
রিসার্চ টা করা হয়েছিলো ৭৯ টি কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপরে।
রিপোর্টে পাওয়া গেছে যে,এটা স্ট্রেস কমিয়ে এনে মাইন্ড শান্ত করে তোলে, ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে।
৩.পিরিয়ডের ব্যাথা কমাতে হেল্প করে:
পিরিয়ডের ব্যাথা হয়না এমন মেয়ে খুজে পাওয়া কঠিন।ব্যাথার পরিমাপ ক্ষেত্র বিশেষে কম বেশি হতে পারে।

যাদের এক্সেসিভ পেইন,তাদের জন্য ল্যাভেন্ডার টি একটা বেস্ট চয়েস হতে পারে।এটি পেশীর সংকোচন প্রসারণ নিয়ন্ত্রন করে,ব্যাথার জায়গাগুলোতে কার্যকরী ফলাফল দেয় এবং শান্ত ভাব তৈরী করে।
৪.স্কিনের ভেতরের ফাংগাল ইন্ফেকশন দূর করে:
ল্যাভেন্ডার টি তে রয়েছে এন্টিইনফ্ল্যামেটরী এবং এন্টিফাঙ্গাল গুনাগুন।
এই হিলিং পটেন্সীর জন্য এটা ত্বকের ভেতরকার নানা প্রদাহ,ক্ষত এবং অশুদ্ধতা দূর করতে ভালো ভূমিকা রাখে।
স্কিন হিলিং ও ওন্ড দূর করতে এটি অতুলনীয়।সেজন্য বিভিন্ন এন্টিফাংগাল কসমেটিক প্রডাক্টটেও এটি ব্যাবহৃত হয় ব্যাপকভাবে।
৫.ইমিউনু সিস্টেম বুস্টার:
আমাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বিভিন্ন কারনেই বাধাগ্রস্ত হয় বা কমে আসে।তখন আমরা অল্প কিছুতেই রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ি।
আমাদের এই ইমিউনু সিস্টেমকে অনেক বেশি কার্যকরী করে তুলতে স্ট্রং ভূমিকা রাখে এই ল্যাভেন্ডার টি।

ল্যাভেন্ডারে থাকা প্রচুর ভিটামিন সি,ম্যাগনেশিয়াম,ক্যালশিয়াম এবং অন্যান্য নিউট্রিশন্স শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা কে উন্নত করে।
৬.বিপাক ক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রিত রাখে:
নানারকম শারিরীক অসুবিধা যেমন পেট ফাঁপা,নওসিয়া বা বমি ভাব,হজমের সমস্যা বা অজীর্ণ,মাসল ক্র্যাম্প ইত্যাদি নানা সমস্যা সমাধানের জন্য শরীরকে এফেক্টিভ করে তুলতে সাহায্য করে ল্যাভেন্ডার টি।
এটি শরীরকে শান্ত করে,পেশীর খিঁচুনি দূর করে।
এন্টিপাসমোডিক গুনাবলির দরুণ এটা অস্বস্তিকর গ্যাস কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।সার্বিকভাবে এটা সিস্টেম কে স্ট্রিমলাইনে নিয়ে আসে।
৭.দীর্ঘদিনের হজম জনিত সমস্যা দূর করে:
ল্যাভেন্ডার টি পিত্তের ওপর ভালো কাজ করে যেটা পরিপাকক্রিয়ার উন্নতি সাধন করে শরীরকে নিয়ন্ত্রিত রাখে।
এই নিয়ন্ত্রনতা শরীরের সাথে সাথে ব্রেন কেও শান্ত করে তোলে।দীর্ঘদিনের হজমজনিত সমস্যায় ল্যাভেন্ডার টি হতে পারে দূর্দান্ত এক সমাধান।
৮.উদ্বিগ্নতা দূর করে:
জীবনের নানা সমস্যায় আমরা প্রায়শই হয়ে পড়ি উদ্বিগ্ন। ল্যাভেন্ডার এর রিচ এন্টিএংজাইটি ন্যাচার আমাদের উদ্বিগ্নতা দূর করে মাইন্ড কে রিল্যাক্স এবং শান্ত করে তোলে।
নিউরন সেলকে উজ্জীবিত করে তোলে এবং ব্রেনের সেই অংশে কাজ করে যেখানে উদ্বিগ্নতা তৈরী হয়।এভাবে ল্যাভেন্ডার টি শরীর ও মনের ওপর প্রভাব ফেলে।

বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ক্লিনিকাল স্টাডি তে এটা পাওয়া গিয়েছে।
৯.স্কিনের ভেতরের ক্ষত সাড়াতে সহায়তা করে:
কাটাছেড়া,পুড়ে যাওয়া,স্কিন লালচে হয়ে যাওয়ার সমস্যায় ল্যাভেন্ডার ভালো কাজ করে।এই সুগন্ধীযুক্ত ফুলটি কোলাজেন প্রডিউসিং বাড়িয়ে তোলে যেটা হিলিং প্রগ্রেস কে ত্বরান্বিত করে।
১০.হেয়ার গ্রোথ বাড়ায়:
বিভিন্ন রিসার্চে এটা এসেছে যে,নিয়মিত ভাবে ল্যাভেন্ডার টি পানে হেয়ার গ্রোথিং বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়।স্ট্রং,লং চুলের আকাঙ্খায় এটি একটি ইজি এফোর্টিং সমাধান।
১১.মাইগ্রেন পেইন রিলিভার এবং ব্যাথানাশক:
শরীরের পেইন কমানোতে এটা হেল্প করে।এছাড়াও মাইগ্রেনের সমস্যা বহুলাংশে কমিয়ে আনে।
মাথা ব্যাথা,পেশীর ব্যাথা,পিঠের পেইন জাতীয় প্রবলেমগুলো তে এই ল্যাভেন্ডার টি এর কার্যকারিতা বেশ ভালো।

নিয়মিত ল্যাভেন্ডার টি পান করা এই ব্যাপারগুলো অনেকটাই সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসে।
কিভাবে ল্যাভেন্ডার টি প্রস্তুত করবেন?
নরমাল চায়ের চেয়ে ল্যাভেন্ডার টি প্রস্তুতি একটু আলাদা।প্রথমে পানি ফুটিয়ে নিয়ে সেটা আলাদা পাত্রে রাখুন।তারপর ছাঁকনি টা কাপের ওপর ধরুন।
সেখানে চায়ের চামচের হাফ চামচ ড্রাই ল্যাভেন্ডার টি রাখুন।এর ওপরে ফোঁটানো গরম পানিটা ঢালুন।
এরপর ছাঁকনি চায়ের কাপের ওপর থাকা অবস্থাতেই পাঁচ মিনিট ঢাকনা দিয়ে চা ঢেকে রাখুন।
চায়ের সম্পূর্ণ টেস্ট এবং স্মেল ছাড়তে এটুকু সময় লাগবে।ছাঁকা হয়ে গেলে পরিমানমতো সুগার এড করে নিন।

টিপস: ল্যাভেন্ডার টি কখনোই সরাসরি গরম পানিতে ফোঁটাবেন না।তাতে চায়ের গুনাগুন নস্ট হয়ে যায়।
ল্যাভেন্ডার টি এর আরো কিছু ব্যাবহার:
১।চোখের চারপাশের ময়েশ্চার ধরে রাখে:
ল্যাভন্ডার টি এর টি ব্যাগ গরম পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে সহনীয় গরম থাকা অবস্থায় চোখের চারপাশে চেপে চেপে ধরুন।
এটার রিচ এন্টিঅক্সিডেন্টস চোখের চারপাশের আদ্রতা ধরে রাখে এবং চোখ শুস্ক দেখায় না।
২.কুইক রিফ্রেশড লুক আনতে:
অনেক সময় অনেক যত্নের পরেও কোনো কারনে হটাত করেই আমাদের ফেস অনেক ক্লান্ত এবং ফেড আউট দেখায়।
সেক্ষেত্রে কটন প্যাডে বা পাতলা টুকরো কাপড়ে ল্যাভেন্ডার টি ফোঁটানো পানি অল্প করে নিয়ে পুরো ফেসে এপ্লাই করুন।
ইন্সট্যান্ট একটা সতেজতা চলে আসবে।ক্লান্ত চেহারার জায়গায় আসবে সজীবতা।
ল্যাভেন্ডার টি পান করা কি সেফ?
জ্বি।সেইফ।
কিন্তু যেহেতু ল্যাভেন্ডার টি এর অনেক ভ্যারাইটি রয়েছে তাই আপনি কোত্থেকে পার্চেস করছেন এটা খেয়াল রাখা জরুরি।
কেমিক্যালমুক্ত,কীটনাশক ফ্রি এবং অর্গানিক ল্যাভেন্ডার টি চুজ করতে পারলে ল্যাভেন্ডার টি এর সেফটি ইস্যু নিয়ে আর কোনো কনফিউশন থাকবে না।
ল্যাভেন্ডার টি কতটুকু পরিমানে ইউজ করতে হবে?
প্রতি এক রেগুলার কাপের জন্য এক চায়ের চামচ শুকনো ল্যাভেন্ডার টি ইউজ করতে পারলে ভালো।
কিন্তু আপনার যদি কড়া লিকারে প্রবলেম থাকে সেক্ষেত্রে হাফ চামচ চা পাতা ও ব্যাবহার করা যায়।
ল্যাভেন্ডার টি কাদের পান করা উচিত না?
১.কিশোর বালক
২.প্রেগন্যান্ট মহিলা
৩.ল্যাভেন্ডারে এর স্মেলে যাদের এলার্জিক রিএকশন হয়।
কোন ল্যাভেন্ডার প্রজাতি চায়ের জন্য বেস্ট?
ল্যাভেন্ডারের প্রায় ৪০ টি প্রজাতি রয়েছে।
এতগুলোর মধ্যে ‘ল্যাভান্ডুলা এংগাসটিফোলিয়া’ নামক টাই ল্যাভেন্ডার টি এর জন্য বিশ্ববিখ্যাত।
সুইটেস্ট এরোমা আর ফ্লেভার এটাকে অন্য স্পেসিস গুলোর থেকে অনেক বেশি খাদ্য উপযোগী করে তুলেছে।এটাকে ইংলিশ ল্যাভেন্ডার ও বলা হয়।

ল্যাভেন্ডার টি এর কোন সাইড এফেক্টস আছে কিনা?
যদিও বিভিন্ন গবেষণায় এটা এসেছে যে ল্যাভেন্ডার টি সেইফ;কিন্তু দুই ধরনের মানুষদের জন্য এটায় কিছু সমস্যা হতে পারে।
বয়:সন্ধি তে পৌছায়নি এমন কিশোর ছেলেদের জন্য এটা কিছুটা সমস্যা তৈরী করতে পারে।ব্রেস্ট এনলার্জিং জাতীয় চেন্জেস হতে পারে।
দ্বীতিয়ত,প্রেগন্যান্ট অবস্থায় এটা খাওয়া হরমোনাল বিভিন্ন সমস্যা তৈরী
করতে পারে।
এছাড়াও যাদের ল্যাভেন্ডার ফুলে এলার্জি আছে,তার এটা ইউজের পূর্বে সতর্কতার সাথে একটু টেস্ট করে দেখতে হবে।
নাহলে থ্রোট ইরিটেশন,শ্বাসের সমস্যা ইত্যাদি হতে পারে।
ল্যাভেন্ডার টি এর সাথে অন্য আর কোন টি যোগ করা যায় কি?
হ্যা।ল্যাভেন্ডার টি এর সাথে ক্যামোমাইল টি এড করলে এটার টেস্ট,স্মেল এবং উপকারিতা আরো বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়।
পরিশেষে:
আমাদের দেশে ল্যাভেন্ডার টি ধারনাটি কিছুটা নতুন হলেও দিনকে দিন এর প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।
ভালো ব্র্যান্ডের ল্যাভেন্ডার টি চুজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ।তাহলে মান এবং গুনের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকা যায়।
মার্কেটে অল্প কিছু কনসিওমার রাই এটা সেল করে থাকেন।তন্মধ্যে পারসোনালি একটা ভালো ব্র্যান্ড আমি সাজেস্ট করতে পারি।আপনারা চাইলে সেটা ট্রাই করে দেখতে পারেন।
“অর্গানিকাওন“ ব্র্যান্ডের ল্যাভেন্ডার টি স্বাদে এবং গুনগত মানের বিশ্লেষণে ভালো লেগেছে আমার কাছে।এদের প্রডাক্ট কোয়ালিটি ও প্যাকেজিং প্রিমিয়াম লেভেলের।
যার কারনে ল্যাভেন্ডার টি এর গুণাগুণ অক্ষুন্ন থাকে এবং বেস্ট রেজাল্ট পাওয়া যায়।”অর্গানিকাওনের” ল্যাভেন্ডার টি প্রডাক্টটি নিতে চাইলে এদের পেজে নক করতে হবে।
দিনশেষে এক কাপ চা কমবেশি সবাই ই পছন্দ করি আমরা।
বিশেষ করে এংজাইটি এবং ঘুমের সমস্যা আছে যাদের তাদের জন্য এটা একটা মাস্ট ট্রাই বেভারেজ।
সুপার রিফ্রেশ এন্ড রিলাক্সেশন এর সাথে এটা পুরো শরীর এবং মাইন্ডের নানাবিধ বেনিফিটস বয়ে আনে।

এক কাপ ল্যাভেন্ডার টি এর সাথে
হয়ে উঠুন রিফ্রেশড,এনার্জিক ও ডিলাইটফুল।
জেনে রাখা ভালো:
পুরো আর্টিকেলটি বিভিন্ন রিসার্চের ওপর পাওয়া তথ্যাদির ওপর বেজ করে সবার জানার সুবিধার্থে লিখিত।
এটাকে মেডিকাল এডভাইস রূপে নেয়া যাবেনা।এই আর্টিকেল কোনো রোগ নির্ণয়,প্রিভেন্টিং,ট্রিটমেন্ট এবং সেই সংক্রান্ত দায় প্রকাশ করেনা।
রূপচর্চা এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক আরো অনেক তথ্য জানতে নিয়মিত আমাদের পেজটিতে দেয়া বিভিন্ন্ ব্লগগুলো দেখতে পারেন ।
ধন্যবাদ।
যে ১০ টি অভ্যাস আপনাকে সব সময় রাখবে তরুণ। আরও জেনে নিন যৌবন ধরে রাখার উপায়।
আমরা সবাই সৌন্দর্যের পূজারী। নারী পুরুষ নির্বিশেষে আমরা নিজেকে সুন্দর দেখাতে পছন্দ করি এবং নিজেদেকে
নিজেকে তরুণ রাখতে খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন এই ১০ টি খাবার।
জীবনের অলিখিত সত্য হলো সময়ের সাথে সাথে বয়স বাড়বেই। চেহারায় পড়বে বয়সের ছাপ এবং ত্বক
অর্গানিকাওনের কুমকুমাদি অয়েল :প্রাচীন এই ম্যাজিকাল মিরাকল অল ইন ওয়ান অয়েলটি একবার ব্যাবহারেই আপনি এর প্রেমে পড়ে যাবেন।
সুন্দর তারুণ্যময় ত্বকের পূজারী আমরা সবাই। সুস্থ সুন্দর লাবণ্যময় ত্বকের প্রতি আমাদের আকর্ষণ চিরন্তন এবং
চোখের নিচের কালোদাগ ও বলিরেখা দূর করুন ঘরে থাকা উপাদান দিয়েই।
কাজলকালো ঐ দুটি চোখ, ও চোখে জাদু আছে...কালজয়ী এই গানটি শোনেননি এমন মানুষ বোধ হয়
রিঙ্কলস দুর করার জন্য ২০ টি এসেন্সিয়াল অয়েল ও ক্যারিয়ার অয়েল
কথায় আছে যে ত্বক সুন্দর তো আপনি সুন্দর । তারুন্যদীপ্ত ,লাবন্যময় ত্বক তো আমাদের সবারই
বলিরেখা থেকে মুক্তি পেতে চাচ্ছেন? জেনে নিন বলিরেখা দূর করার উপায়।
বলিরেখা দূর করার উপায় বলার আগে কিছু কথা বলা দরকার। বলিরেখা কি? কোন দুশ্চিন্তায় বা
Leave a comment